সিলেটে ধীরাজ হত্যার ক্লু উদ্ধার হয়নি ৩ মাসেও

প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০২১

সিলেটে ধীরাজ হত্যার ক্লু উদ্ধার হয়নি ৩ মাসেও

Manual4 Ad Code

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটে ধীরাজ পাল হত্যার ক্লু তিন মাসেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।

জানা যায়, ২৮ মে দুপুরে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার গহরপুরে ইটভাটার ব্যবস্থাপক ধীরাজ পালকে (৬০) প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছিল। হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে পাঁচজনকে রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে। তবে তাদের কাছ থেকে হত্যার ব্যাপারে কোনো তথ্য আদায় করতে পারেনি পুলিশ। এর মধ্যে দুজন জামিনে বের হয়ে গেছেন। বাকিরা জেলহাজতে রয়েছেন।

জানা যায়, প্রথমে মামলাটির তদন্ত করছিল বালাগঞ্জ থানা পুলিশ। পরে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) মামলাটি স্থানান্তর করা হয়েছে। তবে ডিবিতে স্থানান্তরের পরও মামলার তদন্তে আশানুরূপ কোনো অগ্রগতি হয়নি। পুলিশ বলছে, গ্রেফতারদের মধ্যেই হত্যার সঙ্গে জড়িতরা থাকতে পারে।

Manual3 Ad Code

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবির পরিদর্শক মো. ইখতিয়ার উদ্দিন বলেন, আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। যাকেই সন্দেহ হচ্ছে তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত আশাব্যঞ্জক কোনো তথ্য পাইনি। তিনি বলেন, এই মামলার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে। তবে কিছুটা সময় লাগবে।

Manual5 Ad Code

ধীরাজ পাল হত্যার পরদিন ২৯ মে বালাগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন নিহতের বড় ছেলে প্রভাকর পাল বাপ্পা।

Manual4 Ad Code

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ধীরাজ পাল আট বছর ধরে গহরপুরের ওই ইটাভাটায় ব্যবস্থাপক হিসাবে কাজ করেন। তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার আলমপুর এলাকার মৃত দিজেন্দ্র পালের ছেলে। ইটাভাটায়ই রাত যাপন করতেন ধীরাজ। ২৮ মে দুপুরে ইটভাটায় নিজ কার্যালয়ের সামনে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

মামলার পর ৩০ মে ইটভাটার ব্যবসায়িক অংশীদার ও ক্যাশিয়ার মেরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সহকারী ব্যবস্থাপক সুহেদ আহমদ ও সিএনজি অটোরিকশাচালক রুবেল আহমদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাদের চারদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর ইকবাল হোসেন নামে এক ট্রাকচালক ও ইটভাটার নৈশপ্রহরী রাসেল আলীকে গ্রেফতার করে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। পরে তোফায়েল আহমদ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়। এর মধ্যে সিএনজি অটোরিকশাচালক রুবেল ও নৈশপ্রহরী রাসেল আলী জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। বাকিরা এখনো কারাগারে।

এ ব্যাপারে নিহতের ছেলে ও মামলার বাদী প্রভাকর পাল বাপ্পা বলেন, একটা নিরীহ লোককে প্রকাশ্যে খুন করে ফেলা হলো অথচ পুলিশ তিন মাসেও কোনো রহস্য উদঘাটন করতে পারল না। এটি আমাদের পরিবারের জন্য চরম হতাশার। পুলিশের আন্তরিকতা নিয়েই আমাদের মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, পুলিশ এই হত্যারহস্য উদঘাটনে আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছে। এ কারণে থানা থেকে মামলাটি ডিবিতে আনা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা এখনো রহস্য উদঘাটন করতে পারিনি। তবে আমার ধারণা যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের মধ্যেই হত্যাকারী রয়েছে।

Manual6 Ad Code

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..