বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৯:২৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০২১

বিশ্বনাথ উপজেলা চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক :: ‘সিলেটের বিশ্বনাথে সংঘর্ষের ঘটনা নিষ্পত্তি করার নামে লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। আত্মসাতের পর পক্ষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছেন। সর্বশেষ শুক্রবার নুনু মিয়া পক্ষের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় জিডি করে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছেন। বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়ার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রসুলপুর (লাউতলা) গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আমির আতাউর রহমান তালুকদার। সোমবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগে প্রকাশ, ইউকে আন্তর্জাতিক বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আতাউর রহমান তালুকদার শ্যালক সজিব আহমদের এবং বিশ্বনাথ উপজেলার জয়নগর নোয়াপাড়ার আরশ আলীর ছেলে মাজিদ ও মুজিবদের মধ্যে মোটরসাইকেল ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে ২০২০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে । ওই ঘটনায় উভয়পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়। ঘটনার কিছুদিন পর ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেন আতাউর রহমান। এর পর আতাউর রহমান ৮ অক্টোবর বিষয়টি শালিসের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করে দেওয়ার জন্য তার দূরাত্মীয় বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়ার সিলেট নগরের বাগবাড়ির বাসায় যান। এ সময় এস এম নুনু মিয়া ওই ঘটনা শেষ করে দিতে আতাউর রহমানের কাছে দেড় লাখ টাকা দাবি করেন। দর কষাকষি শেষে তিনি ১ লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দিতে সম্মত হন। ওইদিন রাতে নুনু মিয়ার বাসায় উপস্থিত ছিলেন অলংকারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বিশ্বনাথের মুহুরি ফারুক মিয়া। পরদিন ৯ অক্টোবর রাত ১০টার দিকে নুনু মিয়ার বাগবাড়ির বাসায় আতাউর রহমান ভাগ্নে সুরুক, রুবেল ও রাসেলকে সাথে নিয়ে গিয়ে তার দাবিকৃত নগদ ১ লাখ টাকা তাকে দেন।
ওই টাকা নিয়ে নুনু মিয়া দুইদিনের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেবেন বলে তাকে প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পরবর্তীতে তিনি ঘটনাটি নিষ্পত্তি না করে নানা টালবাহানা শুরু করেন। ঘটনাটি নিষ্পত্তির জন্য একাধিক বার নুনু মিয়াকে তাগাদা দিলেও তিনি বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দেননি। পরে উপায় না দেখে ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর আতাউর রহমান তার শশুর মখলিছ মিয়া, শ্যালক সজিব আহমদ, নাছিম আহমদসহ ৫ জনকে সিলেটের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বনাথ আদালতে হাজির করেন। পরে আদালত তার শ্বশুর মখলিছ মিয়া, শ্যালকদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। পরে বিষয়টি নিষ্পত্তি করে না দেওয়ায় আতাউর রহমান টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য বলেন। কিন্তু নুনু মিয়া টাকা ফেরত না দিয়ে নানা ছলচাতুরির আশ্রয় নেন। এরপর তিনি গত বছরের ডিসেম্বর মাসে হার্টের অসুস্থতার জন্য রিং লাগাতে ঢাকায় যান। এ সময় ৫০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে বলেন আর কোনো টাকা দিতে পারব না। বাকি ৫০ হাজার টাকা চাইলে তিনি প্রবাসী আতাউর রহমানকে মা-বাবা তুলে গালাগাল করেন এবং হুমকি দেন।
দীর্ঘদিন ধরে টাকা না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) আতাউর রহমান একটি অনলাইন গণমাধ্যমের লাইভে এসে বিষয়টি তুলে ধরেন। এর জেরধরে পাওনা ৫০ হাজার টাকা না দিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাতে বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় আতাউরের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনে একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের (জিডি) করেন।
জিডির পর এস এম নুনু মিয়া প্রবাসী আতাউর রহমানকে হত্যা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসাবেন বলে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগে প্রকাশ। এ ব্যাপারে প্রবাসী আতাউর রহমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পরিকল্পনামন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করে তার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..