ওসমানী হাসপাতালের ঔষধ পাচারকালে যুবক আটক, নেপথ্যে স্টাফ নার্স খাদিজা

প্রকাশিত: ৫:০৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০২১

ওসমানী হাসপাতালের ঔষধ পাচারকালে যুবক আটক, নেপথ্যে স্টাফ নার্স খাদিজা

আজিজুর রহমান : সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সরকারি ঔষধ বাইরে বিক্রি করার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১ টার দিকে বেশ কিছু সরকারী ঔষধ নিয়ে সে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে দেন। এমনকি এসব ঔষধ পাচারকালে একাধিকজন একাধিকবার পুলিশের হাতে আটকও হয়েছেন। কিন্তু নেপথ্যের কারিগররা থেকে যান ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তবে এবার ঔষধসহ পুলিশের হাতে আটকের পর নার্স খাদিজা খানের নাম বলেছেন আটককৃত ব্যক্তি।

আটক ব্যক্তির নাম বাবুল হোসেন (৪০)। সে সিলেট নগরীর খাসদবির এলাকার চুনু মিয়ার ছেলে। এসময় তার কাছ থেকে বেশ কিছু সরকারি ঔষধ এবং ইনিজেকশন উদ্ধার করা হয়।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন, তাকে আটক করা হয়েছে। থানায় পাঠানো হবে।

জানা যায়, আটককৃত বাবুল হোসেন ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের লেবার অটির (ডেলিভারি ওয়ার্ড) নার্সের ইনচার্জ খাদিজা খানের নাম বলেছেন। বাবুলের ভাষ্যমতে ওই ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স খাদিজা তাকে ঔষধগুলো দিয়েছিলেন।

খাদিজা খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি ক্রাইম সিলেটকে ঔষধগুলো দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, রুবিনা নামের এক মহিলার পিতা অসুস্থ। তাকে ডাক্তার কিছু ঔষধ লিখে দিয়েছিলো। এজন্য পরিচিত হিসেবে আমি ঔষধগুলো দিয়েছি। এর বেশি কিছু না। সরকারি ঔষধ বাইরে বিক্রি করেন কি ভাবে? দোষ স্বীকার খাদিজা বলেন, আসলে এগুলা বেআইনী এবং আমার অন্যায় হয়েছে।

অপরদিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ছুটিতে আছি। এ বিষয়টি আমি এখনো জানি না। আমি এসে বিষয়টি দেখব।’

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..