সিলেট ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:১৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ১হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় করা মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অয়েঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) ঢাকার এডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিক এই আদেশ দেন।
এদিকে মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মো. তাহেরুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেন।এসময় উপস্থিত থেকে তার সঙ্গে সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও ৩৭ জন। বাদী এজাহারে বলেন, গেল ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন। তবে তারা নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ ও টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বার বার নোটিশ দিয়েছে এবং সময় চেয়েছে। কিন্তু ই-অরেঞ্জ পণ্য ও টাকা দেয়নি। সর্বশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত ই-অরেঞ্জের অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা ডেলিভারি দেয়নি।
এ ছাড়াও তারা যে বিভিন্ন আউটলেটের গিফট ভাউচার বিক্রি করেছিল, সেগুলোর টাকা আটকে রাখায় আউটলেটগুলো ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছে না। আমরা এই করোনার সময় আমাদের কষ্টার্জিত অর্থ পাচ্ছি না, বরং প্রতিষ্ঠানটির মালিকানা পরিবর্তন নিয়ে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। এছাড়াও আজ পর্যন্ত তারা ভুক্তভোগীদের কোনও পণ্য ডেলিভারি না করে এক লাখ ভুক্তভোগীর প্রায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে।
মামলার আসামিরা হলেন:- মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ, সোনিয়া মেহজাবিনসহ ই-অরেঞ্জের সব মালিকরা। মামলার এজাহারে উল্লেখিত আসামিদের প্রত্যেককেই ই-অরেঞ্জের মালিক বলে দাবি করা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd