নতুন করে কাউকে আশ্রয় দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১০:৫৫ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৬, ২০২১

নতুন করে কাউকে আশ্রয় দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয় : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : তালেবানদের উত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থকদের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন দেশে সাময়িক আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছে। এরই অংশ হিসাবে কিছু লোককে বাংলাদেশে আশ্রয় দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। তবে বাংলাদেশ এসব আফগান নাগরিকদের আশ্রয় দিতে অপারগতা জানিয়েছে।

জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার রাতে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র সরকার আমাদেরকে বলেছে, আফগানিস্তানে তাদের বন্ধু-প্রতীম অনেক লোক আছে। তারা সবাই আফগান নাগরিক। যুক্তরাষ্ট্র তাদেরকে বিভিন্ন দেশে স্থানান্তরিত করছে। বাংলাদেশ ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। ফলে আশ্রয়দাতা হিসাবে বংলাদেশের সুনাম রয়েছে। ফলে এসব আফগান নাগরিকদের সাময়িক আশ্রয় দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র অনুরোধ জানিয়েছে’।

বাংলাদেশ কী জবাব দিয়েছে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের জিজ্ঞাসা করলাম, কোন্ কোন্ দেশে তাদের আশ্রয় দেয়া হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ওই নাম বলতে পারলো না। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, কতজন আফগান লোককে বাংলাদেশে আশ্রয় দিতে চান। তারা সেই সংখ্যা জানাতে পারলো না। কত দিনের জন্যে রাখতে চান জানতে চাইলে তারা বলে, সাময়িক আশ্রয় দিতে চায়। আমরা এসব শুনে বলে দিয়েছি যে, রোহিঙ্গাদের নিয়ে আমরা হিমশিম খাচ্ছি। আমাদের দেশ বড় দেশ না। আমাদের লোকসংখ্যা বেশি। নতুন করে কাউকে আশ্রয় দেওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা অপারগতা জানিয়ে দিয়েছি’।

আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আফগানিস্তানে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশ তার প্রতি সমর্থন দেবে।

তালেবান সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হবে কিনা- এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘তালেবান সরকার যদি হয় কিংবা হয়েছে এবং সেটা জনগণের সরকার হলে আমাদের দরজা অবশ্যই খোলা থাকবে।’

সোমবার রাজধানীর বিসিপিএস মিলনায়তনে সিনোফার্ম টিকার যৌথ উৎপাদনে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা জনতার সরকারে বিশ্বাস করি। জনগণ যাকে পছন্দ করে আমরা সেই সরকারে বিশ্বাস করি। আমরা গণতান্ত্রিক সরকারে বিশ্বাসী। সে দেশের মানুষের ইচ্ছায় তৈরি করা সরকারে বিশ্বাস করি আমরা।

এদিকে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, আফগানিস্তানে দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। আমরা মনে করি, এই পরিস্থিতি এ অঞ্চল এবং তার বাইরে প্রভাব ফেলতে পারে। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য শেয়ার করে। আফগানিস্তান সার্কের সদস্য এবং দক্ষিণ এশিয়ার অবিচ্ছেদ্য অংশ। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আফগানিস্তানের জনগণ বাংলাদেশকে যে সমর্থন দিয়েছে; বাংলাদেশ তা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। আঞ্চলিক সমৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের সঙ্গে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..