বিশ্বনাথে ইটভাটা মালিক ইর্শাদ আলীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১১, ২০২১

বিশ্বনাথে ইটভাটা মালিক ইর্শাদ আলীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ইর্শাদ আলী (৬২) নামে এক ইটভাটা মালিক ও তার দুই ছেলের প্রতারণার মাধ্যমে স্থানীয় লোকজনের প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল ১২ টায় সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগীরা। উপজেলার সদরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ভোক্তভোগীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের ধোপাকলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মুহিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘একই উপজেলার কালিগঞ্জ বাজারের মেসার্স আল-আমিন ব্রিক ফিল্ডের সত্ত্বাধিকারী, সদর ইউনিয়নের চৌধুরীগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ইর্শাদ আলী এবং তার দুই পুত্র কামরুল ইসলাম ও নাজমুল ইসলাম তাদের ব্রিক ফিল্ডকে পুঁজি করে স্থানীয় এলাকার প্রায় দুই শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে প্রায় কোটির টাকার উপরে হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।

তারা পিতা-পুত্র প্রত্যেক মৌসুমে বিভিন্ন হারে স্থানীয়দের কাছে অগ্রিম কাঁচা ইট বিক্রি করে। একইভাবে আমাদের বেশ কয়েকজনের কাছেও অগ্রিম কাঁচা ইট বিক্রি করে। যে ইটগুলো পুড়িয়ে পরবর্তীতে আমাদেরকে বুঝিয়ে দিতে চুক্তিও সম্পাদন করে তারা।

আমরা স্থানীয় অনেকেই ব্যবসার নিমিত্তে বিভিন্ন সময়ে চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট ভাউচার ও চেকের মাধ্যমে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ইটভাটা মালিক ইর্শাদ আলী ও তার দুই পুত্রের কাছে হস্তান্তর করি। নির্দিষ্ট সময়ে আমাদেরকে পুড়ানো ইট বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও সেটা না করে তারা বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। অথচ, ওই পিতা-পুত্র আমাদের ইট অন্যত্র বিক্রি করে ঠিকই মুনাফা লুটছে।

আমরা আমাদের পুড়ানো ইট চাইতে গেলে আমাদেরকে চাঁদাবাজ আখ্যা দিয়ে মামলা ও হামলার হুমকি দিয়ে আসছে। যে কারণে গত ৪ জুলাই তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছি আমরা। এছাড়াও, ইতোপূর্বে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, সিলেটের জেলা প্রশাসক, বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবরে অভিযোগও দিয়েছি।

এক পর্যায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পংকি খানসহ গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের মধ্যস্ততায় তারা আমাদের ঋণ পরিশোধ করার নিমিত্তে বিভিন্ন সমঝতা চুক্তি করে। এক পর্যায়ে সকল পাওনাদারদের তালিকা ও ঋণের পরিমান উল্লেখ করে তালিকা তৈরী করেন সালিশকারীরা। তখন ইটভাটা সচল রাখার স্বার্থে মুরব্বীদের পরামর্শে তারা আরও ১৯ লাখ ৫০ হাজার ইট বিক্রি করে।

এর কিছুদিন পর তারা সালিশ অমান্য করে চুক্তি ভঙ্গসহ ফের প্রতারণার আশ্রয় নেয়। বর্তমানে তারা নিজেরাই ব্রিক ফিল্ডে বিভিন্ন ঘটনা সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলাসহ বিভিন্ন কায়দার হয়রাণির চেষ্টা করছে। এতগুলো পাওনা টাকা না পেলে পথে বসার উপক্রম হবে আমাদের। এ জন্যে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ ও সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে মহরম আলী, দবিরুল ইসলাম, ছাতির আলী, আরশ আলী রেজা, লালা মিয়া, আহমেদ নুর উদ্দিন, ফজর আলী মেম্বার, আখতার ফারুক, ফরিদ মিয়া, সুবোধ রঞ্জন পাল, মনসুর আহমদ, আবদুস শহীদসহ অসংখ্য পাওনাদার উপস্থিত ছিলেন।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..