সিলেট ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:৩৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২১
নিজস্ব প্রতিনিধি :: অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অপরাধে সিলেট জেলা জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি আবু কালাম তফাদারকে সভাপতির পদকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো: কাইয়ুম বলেন, সিলেট জেলা জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতি আবু কালাম তফাদার র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া পর তাকে নিয়ে রবিবার (৮ আগষ্ট) জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির কেন্দ্রীয় সভাপতি লিয়াকত হোসেন খোকা এমপির গঠনতন্ত্রের প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অপরাধে আবু কালাম তফাদারকে সিলেট জেলা জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এর পর যদি সে (আবু কালাম তফাদার) আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে তাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হবে।
উল্লেখ্য সিলেটের শাহপরাণ এলাকা থেকে দেড় হাজারের অধিক পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও কথিত সাংবাদিক আবুল কালাম (৩৮) এবং তার সহযোগী মিঠুন কুমার দাসকে (২০) গ্রেফতার করেছে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৯। শুক্রবার (৬ আগস্ট) রাতে শাহপরাণ থানাধীন সাদিপুর-২ এর নয়াগাঁও এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আবুল কালাম সিলেটের জকিগঞ্জ থানার শাহিদাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুস সোবহানের ছেলে ও মিঠুন কুমার দাস একই থানার আমুরশীদ গ্রামের তপন কুমার দাসের ছেলে।
গ্রেফতার হওয়া আবুল কালামের ফেসবুক আইডি ঘুরে দেখা যায়, তিনি জাতীয় স্বেচ্ছাসেবক পার্টির সিলেট জেলা শাখার সভাপতি ও দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন নামক পত্রিকার সিলেট প্রতিনিধি। তবে কালামকে সিলেটের মূলধারার কোনো সাংবাদিক চিনেন না জানা গেছে।
র্যাব জানায়, শুক্রবার রাত সোয়া ৭ টার দিকে র্যাব-৯ এর সদর কোম্পানি (সদর ক্যাম্প, সিলেট)-এর একটি দল শাহপরাণ থানাধীন সাদিপুর-২ এলাকার বোরহান উদ্দিন মাজার রোডের Mother’s Shadow ভিলার ২য় তলার দক্ষিণ পাশের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম ও মিঠুন কুমার দাসেকে গ্রেফতার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫ শ ৪৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট জব্দ করে র্যাব।
জানা যায়, আবুল কালাম দীর্ঘদিন যাবত সিলেটে মাদক ব্যবসা করে আসছে। তিনি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের ভেতরে লুকিয়ে মাদকদ্রব্য এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পাঠান। কালামের এমন গোপন কৌশলের ফাঁদে পা দিয়ে অনেক নিরীহ লোক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে এখন কারাগারে।
নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা চালাতে কালাম নিজেকে কখনো সাংবাদিক ও কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে থাকেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, ইয়াবাসহ গ্রেফতার হতে হয়েছে র্যাবের হাতে।
গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব-৯ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবু মুসা মো. শরীফুল ইসলাম (পিএসসি, এএসসি), মেজর মাহফুজুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সামিউল আলম।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd