সিলেট ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৯, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : প্রায় দেড় বছর ধরে বন্ধ আছে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারী কাউন্সিলের নার্সিং নিবন্ধন পরীক্ষা। নিয়মানুযায়ী, একাডেমিক কোর্স সম্পন্ন থাকলেও কাউন্সিলের নিবন্ধন না থাকলে কোনো নার্স সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারবে না। নামকরা কোনো বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকেও চাকরি হয় না। ২০২০ সালের মার্চ মাসে স্থগিত হয় নিবন্ধন পরীক্ষা। এরপর দুই দফায় পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা হলেও অনিবার্য কারণ বশত তা স্থগিত করা হয়।
নার্সিং পাস করে দীর্ঘ সময় বেকার বসে থাকা নার্সরা পরীক্ষা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পরীক্ষা বন্ধই রয়ে গেছে। একাধিক ভু্ক্তভোগীর সঙ্গে কথা হলে হতাশার সুরে তারা বলেন, অনেক আশা নিয়ে বাবা-মা নার্সিংয়ে পড়াশোনা করিয়েছে। দেশে অনেক বেসরকারি হাসপাতাল। ভেবেছিলাম নার্সিং পাস করলেই কোথাও না কোথাও চাকরি হয়ে যাবে। কিন্তু নিবন্ধন সনদ না থাকায় ভালো মানের কোনো হাসপাতালে চাকরির আবেদনই করতে পারছি না। ফলে নার্সিং পাস করেও তারা চাকরির না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
নিবন্ধন পরীক্ষা নিতে অনেক প্রার্থীই লিখিত আবেদন করেছেন স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বরাবর। কিন্তু তাতে সুফল আসেনি।
এদিকে, নিবন্ধন পরীক্ষা সম্পন্ন করতে ঢাকা নার্সিং কাউন্সিল থেকে পাস করা মোঃ অন্তর বাবু আইনী নোটিস পাঠিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের। নোটিস প্রাপ্তরা হচ্ছেন- স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্য শিক্ষা অতিরিক্ত সচিব, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য শিক্ষা উপ-সচিব এবং নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার।
আইনী নোটিসে অন্তর বাবু বলেন, পড়ালেখা শেষ করে খুবই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। আমরা একেকজন শিক্ষার্থী একেকটা পরিবার। আমাদের বেকরাত্বের প্রভাব পড়েছে প্রতিটি পরিবারের ওপর। তাই নোটিস জারির ৭ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ না নিলে এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করবেন বলে নোটিসে বলা হয়।
একই প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা মমতা বানু বলেন, পাস করলেই চাকরি হবে, অনেকের পরিবার এমন আশায় কষ্ট করে সন্তানকে নার্সিংয়ে পড়িয়েছে। কিন্তু পাস করেও তারা বেকার বসে আছে পরিবারের বোঝা হিসেবে। যে কোনোভাবেই হোক, খুব শিগগিরই নিবন্ধন পরীক্ষা হওয়া জরুরি।
এ বিষয়ে স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব ইকবাল হোসেন সবুজ জানান, নিবন্ধন পরীক্ষা নিয়ে নিজেদের স্বার্থের জন্য নার্সিং কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ গড়িমসি করছে। বিভিন্ন নার্সিং কলেজ ও ইনস্টিটিউট থেকে হাজার হাজার নার্স পাস করে বেকার বসে আছে নিবন্ধন সনদ না থাকায়। আর যারা নার্সিং পড়ালেখার ধারে-কাছেও নেই, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পেশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্ট কোর্স করাদের নিবন্ধন দিতেই পরীক্ষা গ্রহণে বিলম্ব করা হচ্ছে। নার্সিং পেশাকে ধ্বংস করতে ওই কারিগরিদের নিবন্ধন দেয়ার জন্য জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে একটি মহল। যারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার পরিকল্পনা নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd