সিলেট ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:২৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১, ২০২১
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের ছাতকে যুক্তরাজ্য প্রবাসীর জমি জবর দখল ও ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে। গত ১২ জুলাই উপজেলার খুরমা দক্ষিন ইউনিয়নের কুম্বায়ন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কুম্বায়ন গ্রামের মৃত. আব্দুল আহাদের ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল মজিদ প্রায় ৮ বছর আগে ১৩ শতাংশ জমি ক্রয় করেন দড়ারপাড় গ্রামের মৃত. আব্দুল খালিকের ছেলে রকিব আহমদ গংদের নিকট থেকে। ঐ জমি দখল বুঝে নিয়ে চাষাবাদও করে আসছিলেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল মজিদ এর আপন ভাই ছুরত মিয়া।
ভোক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ ঘটনার দিন সকালে ছুরত মিয়া জমিতে হালচাষ করতে গেলে বাঁধা প্রদান ও জমির সীমানা (আইলে) জোর পূর্বক খুটি মারেন রকিব আহমদ ও তার সহযোগীরা। এসময় বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ ৪লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন রকিব আহমদ।
স্থানীয় নিরীহ মানুষের জমি জবর দখল করে চাঁদাবাজি এমনকি মসজিদের জায়গা জবরদখলের অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। দড়া নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করে হাওরের পানি নিস্কাসনে বাঁধা ও কৃষকদের যাতায়াতে চরম প্রতিবন্ধকতা সৃৃষ্টি করে আসছেন এমন অভিযোগও রয়েছে রকিব আহমদেও বিরুদ্ধে। এতে স্থানীয় কৃষকরা মারাত্বক ক্ষতির সম্মখিন হচ্ছেন। রকিব আহমদ তার মাকে নির্যাতন, জাল দলিল তৈরি করে আপন ভাইদের জমি ও বাড়ী জবর দখলের অভিযোগও উঠেছে।
রকিব আহমদের বিরুদ্ধে অন্তহীন অভিযোগ। গরু চুরি ও গাড়ী চুরি, ভাংচুর, পুলিশ এসল্ট মামলাসহ ছাতক থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ভোক্তভাগী পরিবারের অভিযোগ রকিব আহমদ এক ভয়ায়নক অপরাধীর নাম। নিরীহ মানুষের জমি জবর দখল করে চাঁদাবাজি করা এখন তার পেশায় পরিনত হয়েছে। তার এমন অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন সাধারন নিরীহ মানুষ।
এ বিষয়ে আব্দুল মোক্তাদির, আব্দুল হামিদ, মহিম উদ্দিন, সুন্দর আলী, জমি দখল করে চাঁদাবাজি করা রকিব আহমদের পেশা হয়ে গেছে। টাকা না দিলে রাস্তাঘাটে অশালীন ভাষায় গালাগালি ও হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন। আমরা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করি।
ভোক্তভোগী ছুরত মিয়া বলেন, রকিব আহমদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে পড়েছি। আমি ও আমার পরিবার চরম নিরাপত্বাহীনতায় ভোগছি। ছাতক থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। থানা পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।
অভিযুক্ত রকিব আহমদ তার উপর আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে দায়েরী সব মামলা থেকে স্ব-সম্মানে অব্যাহতি পেয়েছি।
দক্ষিন খুরমা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মছব্বির বলেন, বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তির চেষ্টা করে সফল হতে পারিনি। তিনি আরো বলেন, এই হাওরে ব্যাক্তি মালিকাধিন জায়গার পাশাপাশি খাস জমিও রয়েছে। সঠিক পরিমাপ করে প্রকৃত মালিকদের মধ্যে পরিমানমত জায়গা বন্ঠন করা হলে সমস্যার সমাধান হতে পারে। এতে দড়া নদীও উদ্ধার হবে। অপর দিকে গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মানে ইউনিয়নে খাস জমি পাওয়া যাচ্ছেনা। এই হাওরে খাস জায়গা উদ্ধার করা হলে ইউনিয়নের ৫০ টি গৃহহীন পরিবারের জন্য ঘর নির্মানের প্রকল্প বাস্থবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। তিনি এ বিষয়ে প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এসআই আসাদুজ্জামান আসাদুজ্জামান বলেন অভিযোগ প্রাপ্তির প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।
ছাতক থানার ওসি শেখ মো. নাজিম উদ্দিন অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ছাতক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রিট মোহাম্মদ ইসলাম উদ্দিন বলেন, নদীতে বাঁধ নির্মানের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ইতোমেধ্য সার্ভেয়ার কতৃক প্রতিবেদন পেয়েছি। উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd