সিলেট ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:২৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২১
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি :: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা সীমান্তে স্থল পথের পাশাপাশি নদীপথে ভেসে আসছে ভারতীয় পণ্য। সংশ্লিষ্ট বাহিনী তৎপরতার কারণে চেরাকারবারীরা নিত্য নতুন কৌশল অবলম্বন করছে।
সরেজমিনে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত ঘুরে দেখা যায়, স্থলপথের পাশাপাশি চোরকারবারী চক্রের সদস্যরা নদীপথ ব্যবহার করে ভারত হতে নিয়ে আসছে নানা রকমের পণ্যসামগ্রী। নিরাপদ রুট হিসাবে কৌশলে নদীপথ ব্যবহার করা হয়। উপজেলার যে সকল নদীপথগুলো চোরাকারবারীরা ব্যবহার করে সেগুলো হল-খাঁসি, খোয়াই, রাংপানি, ছাগল খাউরী, কলসী, নয়াগাং, কাটাগাং, বড়নয়াগাং ও সারী নদী। এসকল নদীর উৎসমুখ ভারত সীমান্তে থাকায় বর্ষার মৌসুমে চেরাকারবারীরা দিন-রাত ভারত হতে নদীপথে অভিনব কায়দায় সবজিসহ গাড়ির টায়ার-টিউব, মাদকসামগ্রী চালি বেঁধে নদীর পানিতে ভাসিয়ে দেয়।
চোরাকারবারী দলের একাধিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার কঠোর শর্তে ছবি তোলা ও ভিডিও করার সুযোগ দিয়ে বলেন, আমরা পেটের দায়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জল কিংবা স্থলপথে পণ্য বাংলাদেশে নিয়ে আসি। এসব পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশের পর তেমন কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না ব্যবসায়ী কিংবা ক্যারিয়ারদের।
তারা আরও বলেন, পণ্যের মালিকের সাথে সংশ্লিষ্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছুসংখ্যক মনোনীত সোর্সম্যান রয়েছে। তাদের সাথে নির্দিষ্ট চুক্তির মাধ্যমে আমরা পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করাই। পণ্য খালাসে ভারত সীমান্তে অংশে প্রবেশের কালে আমাদের ঝুঁকি বেশি। যে কোনো সময় বিএসএফ হানা দেয়। তখন জীবন বাজি রেখে পণ্য নিয়ে আসি। অনেক সময় পণ্য ফেলে এলোপাতাড়ী দৌড়ে বাংলাদেশে ফিরতে হয়।
বর্তমান লকডাউন পরিস্থিতিতে বেশ কিছু দিন হতে আমাদের কয়েকটি গ্রুপ নদীপথে ভারত হতে সুপারী, সাতকরা, টমেটো, গাড়ির টায়ার, কসমেটিক্স সামগ্রী, ঔষধ, মেডিকেল সামগ্রী, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট ও নাছির বিড়ি নিয়ে আসি। বিভিন্ন সময়ে এসব পণ্য স্থলপথে আনা হয়। তবে স্থলপথের তুলনায় জলপথ সবচেয়ে নিরাপদ।
১৯ বিজিবি’র এফএস রেজাউল করিম ফোনালাপে বলেন, বিজিবি’র অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জৈন্তাপুর ক্যাম্পের সদস্যরা রাতে অভিযান চালিয়ে ৮ ক্যারেট ভারতীয় টমেটো আটক করে। সীমান্তকে নিরাপদ রাখতে বিজিবি কাজ করে যাচ্ছে। স্থানীয়রা এগিয়ে না আসলে শতভাগ সফল হওয়া যাবে না। তবে নদীপথের বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখব। সীমান্ত চোরাচালনামুক্ত রাখতে সচেতন মহলকে এগিয়ে আসতে হবে।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, চোরাচালান রোধে থানা-পুলিশ নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd