সিলেট ১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১০ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৩৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩১, ২০২১
সৈয়দ হেলাল আহমদ বাদশা, গোয়াইনঘাট :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীতে পড়ুয়া ৭ বছরের স্কুল ছাত্রীকে কোম্পানীগঞ্জে এই সেই ধর্ষণকারী সফিক। তাকে খুঁজছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পুলিশ।
দেশের ন্যায় আমাদের উপজেলায়ও আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলছে ধর্ষণকাণ্ড। কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না ধর্ষকদের। ধর্ষণের বিরুদ্ধে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সচেতনতা বাড়লেও একের পর এক ধর্ষণ হচ্ছেই। অনেক ধর্ষণের খবর খবরের পাতায় ও মিডিয়ায় আসে না এর আগেই বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে অথবা লোক লজ্জা ও সমাজের ভয়ে এর অকাল মৃত্যু ঘটে। ধর্ষণ এখন আর কোনও বয়সের মধ্যেও সীমাবদ্ধ নেই। ধর্ষকের লোলুপ দৃষ্টি থেকে বাদ যাচ্ছে না নিজের সন্তানও। ৩ বছরের শিশু থেকে ৬৫ বছরের নারীরাও বাদ যাচ্ছে না। রেহাই পাচ্ছেন না বাকপ্রতিবন্ধী বা ভবঘুরে পাগলিনীও। বোরকা পরা নারীও ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। ইত্যবসরে আমাদের উপজেলায়ও কয়েকটি ধর্ষণ ঘটনা ঘটে গেল যার মধ্যে একটি হচ্ছে এই সাত বছরের স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার।
সমাজ সংস্কারক ও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ধর্ষণকাণ্ড বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বিকৃত মন মানসিকতা। আর নারীর প্রতি সহিংসতার মূল কারণ হলো নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে দেখার মানসিকতা। এমন মানসিকতাই নারীর প্রতি সহিংসতাকে উসকে দিচ্ছে।
ধর্ষণের ঘটনা বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে চরম নৈতিক অবক্ষয়, অবাধ আকাশ-সংস্কৃতি, মাদকের বিস্তার, বিচারহীনতা, বিচার প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা ও বিচারের দীর্ঘসূত্রতাও।
উল্লেখ্য গত ২৩ জুলাই বুধবার দিবাগত রাতে নির্যাতিত স্কুলছাত্রী তার বাবার শালা (মামার) শ্বশুরবাড়ি কোম্পানীগঞ্জ রায়পুর গ্রামের শুক্কুর আলীর বাড়িতে ঈদের দাওয়াতে গিয়ে মামার বন্ধু শফিকুর রহমান দ্বারা ধর্ষিত হয়। এ নিয়ে ২৭ জুলাই বিকালে কোম্পানীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা হয়।
পুলিশ ও বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, মামলার প্রেক্ষিতে ধর্ষক শফিকুর রহমানকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী খুঁজছে। তাকে ধরতে একাধিকবার তার বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হানা দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটানোর পর থেকে সে বাড়ি হইতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অভিযুক্ত ধর্ষণকারী গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের বগাইয়া হাওর দক্ষিণপাড়ার আব্দুল মোমিনের ছেলে শফিকুর রহমান (২০)।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে এম নজরুল ইসলাম জানান, মামলাটি তদন্তনাধীন আছে। অভিযুক্ত আসামীকে ধরতে তার বাড়িতে একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। বর্তমানে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বিধায় তাকে ধরতে একটু বেগ পেতে হচ্ছে, শিগগিরই তাকে আইনের শৃংখলে আবদ্ধ করা হবে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd