সিলেট ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩০, ২০২১
জকিগঞ্জ প্রতিনিধি :: সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ইলাবাজ (সখড়া) গ্রামের এক গৃহিনীকে করোনাকালীন সরকারি সহযোগিতা দেয়ার কথা বলে বিকাশ থেকে ১৮ হাজার ৩ শত ৬০ টাকা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় প্রতারণার শিকার ওই পরিবার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। টাকা উদ্ধারের জকিগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রী করেছেন প্রতারণা শিকার ওই গৃহিণীর স্বামী আহসান হাবীব লায়েক। জকিগঞ্জ থানার জিডি নং-১০৯৫।
জানা যায়, গত বুধবার (২৮ জুলাই) ইলাবাজ (সখড়া) গ্রামের গৃহিণীর ০১৭৬৫-৩৮৫৬০২ নাম্বারে কল দিয়ে বলে, বাংলাদেশের ৭টি জেলায় সরকার করোনাকালীন ভাতা দিচ্ছে এবং প্রতারিত গৃহিণীর পরিবারকে ৪০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে তিনি একটি রকেট একাউন্ট করতে হবে এবং বিকাশ একাউন্ট আপডেট করতে হবে। প্রতারকের কথা শুনে গৃহিণী বিষয়টি বুঝতে চাচাতো ভাই মাহতাব উদ্দিনের নিকট মোবাইল ফোন নিয়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর প্রতারক একই কথা বললে, ওই গৃহিণী সরল মনে বিকাশ একাউন্ট আপডেটের জন্য প্রতারকের নিকট বিকাশের পিন নাম্বার বলে দেন। পরে প্রতারক টাকা প্রেরণের জন্য একটি রকেট নাম্বার দিতে বললে গৃহিণী….বেগম ও চাচাতো ভাই মাহতাব উদ্দিন স্থানীয় বাবুর বাজারের আব্দুল মুনিমের দোকানে গিয়ে একটি রকেট নাম্বার দেন। রকেট নাম্বার পেয়ে প্রতারক তাৎক্ষণিক ০১৭১৯-০৩৮৩৭৯ একটি নাম্বার থেকে ১৯ হাজার ৭শত ৫০ টাকার একটি এসএমএস প্রেরণ করে। এসএমএস পেয়ে দোকানের মালিক আব্দুল মুনিম নগদ ১ হাজার ৩ শত ৯০ টাকা মহিলার হাতে তুলে দেন এবং বাকী ১৮ হাজার ৩ শত ৬০ টাকা টাকা মহিলার বিকাশ একাউন্টে প্রেরণ করেন।
কিছুক্ষণ পরে ব্যবসায়ী আব্দুল মুনিম তাদেরকে জানান, আমার রকেট একাউন্টে টাকা আসেনি। মহিলাকে দেওয়া ১ হাজার ৩ শত ৯০ টাকা নিয়ে তাদেরকে আটকে টাকা দাবী করেন। তাৎক্ষণিক ও গৃহিণীর বিকাশ একাউন্ট চেক করে ব্যালেন্স নেই দেখে গৃহিণীকে দোকানে আটকে দোকানদার মুনিম আহমদ গৃহিণীর সাথে থাকা দু’টি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন রেখে ছেড়ে দেন। এ ঘটনায় গৃহিণীর স্বামী আহসান হাবীব লায়েক জকিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।
বিকাশ অফিস সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী মহিলার নাম্বার থেকে তাৎক্ষণিক ০১৬০৮-৫৫৯৯২৯ সেন্ডমানি ও ০১৮৬৯-৬২২৭৬৪ এই এজেন্ট নাম্বারে কেস আউট নিয়ে গেছে প্রতারক চক্র।
জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনাচার্জ মোঃ আবুল কাসেম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ প্রতারকদের চিহ্নিত করতে কাজ শুরু করেছে। বিকাশ একাউন্ট আপডেটের কথা বলে একাউন্টের পিন ও এসএমএস-এ আসা ৬ সংখ্যার নাম্বার কেউ আপনার কাছে চাইলে, তা কখনো বলবেন না। বিকাশ পরিচয়ে চাইলেও না। কেউ চাইলেই বুঝবেন প্রতারক। এমন কল পেলেই কল কেটে দিন। প্রতারক নানাভাবে আপনাকে ফাঁদে ফেলতে পারে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd