সিলেট ২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২২শে জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:২৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০২১
দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি :: সৃনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে কিশোর মামুন আলী (১০) হত্যা মামলার প্রধান আসামি হোটেল মালিক ঘাতক আশ্রব আলী (৪৫) ও কর্মচারী আমজদ আলী (২২) শুক্রবার বিকালে সুনামগঞ্জের বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। ঘাতক আশ্রব আলী সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের পুত্র এবং অপর আসামি আমজদ আলী দোয়ারাবাজারের নরসিংপুর ইউনিয়নের দোয়ারাগাঁও গ্রামের আবেদ আলীর পুত্র। শুক্রবার নিহতের মা রুপিয়া বেগম বাদী হয়ে হোটেল মালিক আশ্রব আলীকে প্রধান আসামি করে হোটেল কর্মচারী আমজদ আলী গংয়ের বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় ফৌজদারী কার্যবিধি ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় একটি হত্যা মামলা (নং ১০) দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, বুধবার ঈদের দিন সকালে উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের বালিউরা বাজারস্থ আশ্রব আলীর হোটেলের রান্নাঘর থেকে কিশোর মামুনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সুরতহাল রিপোর্টে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে পোড়ার (আগুনে ছ্যাঁকার)দাগ রয়েছে। নিহত মামুন একই উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গোজাউড়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের পুত্র। ওই বাজারে একটি ভাড়াটে ঘরে স্ত্রী-সন্তানসহ দীর্ঘদিন ধরে কাঁচামালের ব্যবসা করছেন বিল্লাল হোসেন। নিখোঁজের দুদিন পর ঈদের দিন বুধবার সকালে ওই হোটেলের বুয়া (পরিচ্ছন্নতাকর্মী) জয়তুন নেছা দুদিন বন্ধ থাকা ওই হোটেলের দরজার তালা খুলে রান্নাঘর পরিস্কার করতে গিয়ে মেঝেতে মামুনের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
এ ব্যাপারে শুক্রবার সন্ধ্যায় দোয়ারাবাজার থানার ওসি দেবদুলাল ধর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, কিশোর মামুন হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া হোটেল মালিক আশ্রব আলী ও কর্মচারী আমজদ আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে আমাদের অভিযান চলছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd