সিলেট ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৫৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৮, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক :: সিলেটের গ্রামীণ বাজারের মধ্যে সর্ববৃহত গরু বাজার জৈন্তাপুর রাজবাড়ী মাঠে বসেছে। করোনা ভাইরাসের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যে লগডাউন শীতিল থাকায় পশু কিনতে উৎসাহ দিচ্ছে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি।
শহর ছেড়ে প্রতিদিনই গ্রামীণ হাট-বাজার গুলোতে ছুটে আসছে ক্রেতারা। স্বাস্থ্যবিধি ভূলে গিয়ে তারা পশু সহ বিভিন্ন শপিং মলে কেনাকাটা বাড়ছে। স্বাস্থ্য বিধি নিয়ে কাউকে মাথা ঘামাতে দেখা মিলেনি ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে। তাই উপজেলায় কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ বৃদ্ধির আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শহরের তুলনায় উপজেলার গ্রামীণ পর্যায়ের বাজার গুলোতে কোরবানির পশুর চাহিদা বেড়েছে। জৈন্তাপুর উপজেলার তিনটি বাজারে পশু প্রতিদিন ক্রয়-বিক্রয় হচ্ছে। কোরবানীর ঈদ হওয়ায় প্রায়ই প্রতিটি বাজারে প্রচুর পশু এসেছে।
রোববার জৈন্তাপুরের নির্দিষ্ট বাজার হওয়ার কারনে এবং ঈদুল-আযহার জন্য শেষ বাজার থাকায় রাজবাড়ী ফুটবল মাঠে বাজার স্থানান্তর করা হয়। গত বাজারের তুলনায় কয়েক গুন বেশি গ্রামীণ পশু বাজারে উঠছে। দাম ভাল ক্রেতা-বিক্রেতার হাতে নাগালে রয়েছে।
হাটের ইজারাদাদের একজন সিরাজুল ইসলাম বলেন, পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে সরকারি কিছু নির্দেশনা আছে। সেগুলো আমরা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। পাশা পাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু ক্রয়ের আহবান জানাচ্ছি।
জৈন্তাপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরওয়ার বেলাল বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট-বাজার, শপিংমল, গণপরিবহন চলাচল করার কথা থাকলেও বেশির ভাগ ক্রেতা-বিক্রেতাগণ তা মানছেন না। ফলে কোভিট-১৯ করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ বৃদ্ধির আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত আজমেরী হক বলেন, সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনে উপজেলার প্রতিটি বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটিকে কঠোর ভাবে পালনের আহবান করা হয়েছে। গ্রামীণ জনগোষ্টির বেশির ভাগ ক্রেতা-বিক্রেতাগণ সাধারণত স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। এজন্য সংক্রামন বৃদ্ধির আশংঙ্কা রয়েছে। তারপরও আমাদের পক্ষ হতে বিভিন্ন ভাবে সর্তকতা অবলম্বনের জন্য কয়েকটি টিম কাজ করছে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd