গোয়াইনঘাটে প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে বিচ্ছিন্ন কলেজ ছাত্রের হাত, অস্ত্রোপচার সম্পন্ন

প্রকাশিত: ৭:০৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০২১

গোয়াইনঘাটে প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে বিচ্ছিন্ন কলেজ ছাত্রের হাত, অস্ত্রোপচার সম্পন্ন

গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাটে প্রতিপক্ষের ধারালো রাম দায়ের কোপে এক কলেজ ছাত্রের হাত কেটে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। শুক্রবার (৯ জুলাই) উপজেলার ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়নের পিরের বাজার সংলগ্ন টেকনাাগুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হাত কেটে দ্বিখণ্ডিত হওয়ার ঘটনায় গোয়াইনঘাট উপজেলাজুড়ে তোলপাড় বিরাজ করছে।
পরে ওই আহত কলেজ ছাত্র দিলদার মিয়া ও তার বিচ্ছিন্ন হাত নিয়ে নিয়ে সাথে সাথে সিওমেকে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার পর এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্লাস্টিক এন্ড রিকনস্ট্রাক্টিভ সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আব্দুল মান্নান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সিলেট নগরীর নয়াসড়কস্থ মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। দিলদারের স্বজনরা তাকে নিয়ে মাউন্ট এডোরায় ভর্তি হন। মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে শুক্রবার রাতেই বিচ্ছিন্ন হাতের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন ডা. মো. আব্দুল মান্নান।
এ ঘটনায় কলেজ ছাত্র দিলদার মিয়ার মা হোসনেয়ারা বেগম বাদি হয়ে গোয়াাইনঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা (নং-০৭, তারিখ- ১০-০৭-২০২১ ইং)। এদিকে শুক্রবার ঘটনার পর পর গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ওসি পরিমল দেব এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান।
মামলায় আসামিরা হলেন ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়নের পিরের বাজার সংলগ্ন টেকনাাগুল গ্রামের শাহ আলমের ছেলে হুমায়ুন মিয়া (৩৫), বাদশা মিয়ার ছেলে জিয়াউর রহমান (৩০), মৃত রহমত আলীর ছেলে শাহ আলম (৫১) ও বাদশা মিয়া (৪৯), মাসুক মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ বেগম আক্তার (২৪), বাদশাহ মিয়ার ছেলে কালা মিয়া (২৬) ও মিলন মিয়া (২৩), শাহ আলমের স্ত্রী শাকিলা বেগম।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দিলদারের বড় ভাই মাশুক আহমদ একই গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে বেগম আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর উভয়ের পরিবারের মধ্যে পারিবারিক বিষয় নিয়ে কলহ তৈরি হয়। কোন সমস্যা হলেই বেগম আক্তার তার পিত্রালয়ে চলে যান এবং উভয় পরিবারের মধ্যে বিরোধ বাধতেই থাকে। শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকালে একই ভাবে পরিবারিক সমস্যার জেরে বেগম আক্তার তার পিত্রালয়ে চলে গেলে স্বামী মাশুক আহমদ বেগম আক্তারকে নিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে যান। পরে বেগম আক্তারের বাড়ির লোকজন ও তাদের স্বজনরা মাসুককে মারধর শুরু করেন। এমন খবর পেয়ে ছোটে যান ছোট ভাই দিলদার। তাদের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তারা দিলদারকে আগাত করতে শুরু করে। পরে উত্তেজিত হুমায়ুন মিয়া ধারালো রামদা দিয়ে দিলদারের ডান হাতে কোপ দিয়ে তার হাত দ্বিখণ্ডিত করে জঙ্গলে ফেলে দেন। পরে আশপাশের লোকজন হাতটি খোঁজে বের করেন। এই দ্বিখণ্ডিত হাতের অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেন ডা. মো. আব্দুল মান্নান। দিলাদারের স্বজনরা ডা. মো. আব্দুল মান্নানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

July 2021
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..