সিলেট ১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৭ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৫৩ অপরাহ্ণ, জুলাই ৯, ২০২১
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : দেশে দিন দিন বাড়ছে করোনার সংত্রমণ। অন্যদিকে মানুষ অর্থনৈতিক সংকটে। এসবের তোয়াক্কা না করে ডিলারদের সিন্ডিকেটের কবলে পড়েছেন সাধারণ কৃষকরা। ভরা আমন মৌসুমে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষকরা। ডিলাররা বীজের বস্তার গায়ে লেখা মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ দাম নিচ্ছেন কৃষকদের কাছ থেকে। ফলে কৃষকরা অনেকটা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। অসহায় ও বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ দাম দিয়ে কিনতে হচ্ছে ধানের বীজ। তাও কোন প্রকার ডকুমেন্ট ছাড়া। ভাউচার চাইলে ধান বিক্রয় করবেন না বলে ফিরিয়ে নেন ধান। ডিলারদের গোডাউনে পর্যাপ্ত বীজ মজুত থাকলেও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তারা সবাই মিলে একই দামে বিক্রি করছেন। এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলার দেওকলস ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের ভুক্তভোগি কৃষক আব্দুল আলী ও আত্তর আলী।
কৃষক আব্দুল আলী জানান, ৮ জুলাই বৃহস্পতিবার তিনি ধানের বীজ ক্রয় করতে উপজেলা সদরের বিভিন্ন ডিলারদের কাছ থেকে দাম যাচাই করেন। এক পর্যায়ে তিনি বীজ ডিলার নতুনবাজারের কিসমত ট্রেডার্সে গিয়ে ৭৫০টাকা করে ১০জাতের ১৫০০ টাকায় ১০কেজি ওজনের দুই বস্তা বীজ ক্রয় করেন। কিন্তু বস্তার গায়ে লেখা মুল্য অনুযায়ি এদুটি বস্তার দাম হয় ৭২০ টাকা। একই গ্রামের কৃষক আত্তর আলী বীজের দাম বেশী হওয়ায় তিনি ডিলারদের কাছ থেকে বীজ ক্রয় করতে না পেরে বাড়ি ফিরেন। জরুরী ভিত্তিতে এবস দূর্নীতিবাজ ডিলারদের তালিকা তৈরী করে তাদের লাইসেন্স বাতিল না করলে কৃষি উন্নয়নে বিস্তর প্রভাব পড়বে। এমনটাই জানিয়েছেন ভুক্তভোগী কৃষকরা।
কিসমত ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারি আকবর হোসেন কিসমত বলেন, সরকারি বীজ সংকট হওয়ায় প্রাইভেট বীজের দাম অনেক বেশী হওয়ায় দাম বেশী রাখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক সুমন চন্দ্র দাস বলেন, কৃষকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উপজেলা কৃষি অফিসার কনক চন্দ্র রায় বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছেন। ডিলারদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd