কোম্পানীগঞ্জ থানার দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে এসপির কাছে অভিযোগ

প্রকাশিত: ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০২১

কোম্পানীগঞ্জ থানার দুই এসআইয়ের বিরুদ্ধে এসপির কাছে অভিযোগ

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার সুকোমল ভট্টাচার্য ও সাব-ইন্সপেক্টর ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে বাড়ি থেকে এক ব্যক্তিকে তুলে এনে ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সিলেট জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন উপজেলার নারাইনপুর এলাকার মাহমুদ আলীর ছেলে সাদেক মিয়া।

শুধু তাই নয়, দাবিকৃত ২০ হাজার টাকার মধ্যে ১২ হাজার টকা মোবাইল অপারেটর ‘নগদ’ এর মাধ্যমে গ্রহণের পরও সাদেক মিয়ার ভাই দুলাল মিয়াকে না ছেড়ে পুরাতন একটি পাথর চুরির মামলায় অজ্ঞাত আসামী দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ২৬ জুন পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে গ্রহণ করা লিখিত অভিযোগের কপি, টাকা লেনদেনের কথোপকথনের রেকর্ড ও মোবাইল অপারেটর নগদ এর মাধ্যমে টাকা প্রদানের প্রমাণ প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ২৪ জুন রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে থানার সেকেন্ড অফিসার সুকোমল ভট্টাচার্য ও সাব-ইন্সপেক্টর ইয়াকুব আলী দু’টি মোটরসাইকেলে করে আরও ৪ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে সাদেক মিয়ার বাড়িতে গিয়ে তার ছোটভাই দুলাল মিয়াকে বিনা ওয়ারেন্টে ধরে নিয়ে আসতে চান। এ সময় সাদেক মিয়া বাধা দিলে তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। পরে দুলাল মিয়াকে থানায় নিয়ে আসা হলে পরদিন সকাল সাড়ে ৯টায় সাদেক মিয়া থানায় গিয়ে ভাইয়ের সাথে দেখা করেন। এ সময় এসআই সুকোমল ও ইয়াকুব আলীকে থানায় না পাওয়ায় টুকেরবাজারে চলে আসেন। হঠাৎ সকাল ১০টায় একটি মোবাইল নম্বর (০১৪০৮৭৮৯২৯৪) থেকে ফোন করে নিজেকে কোম্পানীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার পরিচয় দিয়ে ৩ মিনিটি ৪৪ সেকেন্ড কথা বলে ২০ হাজার টাকা দিলে দুলাল মিয়াকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। অন্যথায় শাহ আরেফিন টিলার পাথর চুরির মামলা দিয়ে দুলালকে ফাঁসিয়ে দেবেন বলে জানান ওই ব্যক্তি।

অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, সকল কথার পর পর সাদেক মিয়া ২০ হাজার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ফোনের ব্যক্তি ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য বলেন এবং মোবাইল অপারেটর নগদ এর নম্বর (০১৬১১৬৪৬১৮৭) দেন। এই নম্বরে সাদেক মিয়া ১০টা ৪৮ মিনিটে ১০ হাজার টাকা পাঠান। কিন্তু ঘুষ দাবি করা ব্যক্তি সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা না দিলে তা নেবেন না বলে জানালে সাদেক মিয়া আরও ২ হাজার টাকা দেন। পরে ফোন করে টাকা দাবি করা ব্যক্তি মোট ১২ হাজার টাকা প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদেক মিয়াকে থানার সামনে গিয়ে দুলাল মিয়াকে নিয়ে আসার কথা বলেন। কিন্তু সাদেক মিয়া থানার সামনে গিয়ে অপেক্ষা করলেও দুলাল মিয়াকে ছাড়া হয়নি। কিছু সময় পর ০১৪০৮৭৮৯২৯৪ নম্বরে ফোন করলে তা বন্ধ পান সাদেক। পরবর্তীতে দুলাল মিয়াকে শাহ আরেফিন টিলায় পাথর চুরির একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

এ বিষয়টি অধিকতর জানার জন্যে অভিযোগকারী সাদেক মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সিলেটের এসপি বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু খুব নিরাপত্তাহীনতায় আছি। খুব ভয়ে আছি সেই দুই পুলিশ অফিসার যদি আমাকে অন্য মামলায় ফাসিয়ে দেয়!সাদেক মিয়া আরও বলেন,আজকে সিনিয়র এএসপি (গোয়াইনঘাট সার্কেল) প্রভাস কুমার সিংহ মূল ঘটনাটি জানার জন্যে আমাকে ফোন দিয়েছিল।তিনি আমাকে বলেছেন সিলেটের এসপি ফরিদ উদ্দিন সাহেবের সাথে যোগাযোগ করতে।

অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) লুৎফর রহমান। তিনি বলেন, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এর তদন্ত করছেন গোয়াইনঘাট সার্কেলের সিনিয়র এএসপি।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

July 2021
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

সর্বশেষ খবর

………………………..