সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৭:২৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২১
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি : ইতিহাস-ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ জৈন্তাপুর উপজেলা। বহু খনিজ সম্পদ আর প্রাকৃতিক দৃষ্টিনন্দন স্থানগুলো ছাড়াও জৈন্তাপুরে রয়েছে শত শত বছরের পূরনো ঐতিহাসিক নিদর্শন। যা এখন এক শ্রেণীর মানুষের কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে। সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যেমন বিনষ্ট হচ্ছে পূরাকীর্তি একইভাবে বিশাল আকৃতির পাথরগুলো চুরি করে বিত্রিুরও হিড়িক পড়েছে। সিলেটের জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে ছিল এক সময়ের স্বাধীন জৈন্তিয়া রাজ্য। একাধারে ২৩ জন রাজার রাজত্ব করা এই রাজ্যের রাজধানী ছিল জৈন্তাপুর উপজেলা সদরে। রাজ প্রাসাদ রাজবাড়ি ছাড়াও বহু স্থাপনা কালের স্বাক্ষী হয়ে পড়ে আছে যেখানে সেখানে। মন্দির সহ ছোট বড় অনেকগুলো পাথর রয়েছে, যা শক্তিশালি যন্ত্রদানব ছাড়া একটুও নড়াচড়া করা অসম্ভব। সম্প্রতি একটি চত্রু বিভিন্ন স্থানের ছোট আকৃতির পাথরগুলো কেটে গৃহস্থালী পণ্য মসলা বাটার পাটা তৈরী করছে। উপজেলা সদরের তোয়াসিহাটিতে রাজকীয় আমলের একটি পানির কূপ রয়েছে। এই কূপের চারিদিকে সুরক্ষার জন্য এক রকম প্লেটের মত পাথর দিয়ে আচ্ছদিত করা ছিল। উপজেলা সদরের আশপাশের অনেক জায়গায় এরকম পাথর এখন মানুষের স্বার্থসিদ্ধির থাবায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
রাজকীয় এই স্থাপনাগুলো সরকারের প্রতœতত্ত্ববিভাগের আওতায় থাকলেও তা শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ। কোন রকম সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ত্রুমশ হারিয়ে যেতে পারে জৈন্তিয়া রাজ্যের ইতিহাস-ঐতিহ্য।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত আজমেরী হক বলেন, এই পূরাকীর্তি সংরক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে প্রতœতত্তবিভাগ। কিন্তু জৈন্তাপুরে এখনো কোন তত্ত্বাবধায়ক না থাকায় সমস্যাগুলো হচ্ছে। পাথর চুরির বিষয়ে তিনি কঠোর ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd