গোয়াইনঘাটে প্রধান শিক্ষক’র বিরুদ্ধে ৩৩ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১১:১২ অপরাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২১

গোয়াইনঘাটে প্রধান শিক্ষক’র বিরুদ্ধে ৩৩ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

স্টাফ রির্পোটার :: গোয়াইনঘাট উপজেলার পরগনাবাজার স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসাইন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা কাল থেকে অদ্যবদি পর্যন্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন৷ কিন্তুু বিদ্যালয়ের কোন আয় ব্যয়ের হিসাব প্রতিষ্ঠাকাল ২০০২ সালে থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত দিতে পারেননি। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি সভাপতিসহ কয়েকজনকে ম্যানেজ করে ৩৩লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে৷ বিগত ২০১৩ সালে জুনিয়র এমপি ও করে দেন মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এম পি। অথচ এলাকাবাসীর অভিযোগ তিনি ( ফারুক হোসাইন ) এম পি ও এর নাম করে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এলাকার সচেতন মহল বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি,যার ফলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ভেঙ্গে একটি নতুন কমিটি করা হয়।

নতুন কমিটি বিদ্যালয়ের আয় ব্যয় হিসাব চাইলে টাল বাহানা করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক, পরে ঐ কমিটির চাপের মুখে হিসাব দিতে বাধ্য হলে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ০২ সদস্যের একটি অডিট কমিটি গঠন করা হয়, অডিট কমিটি যথা নিয়মে হিসাব চাইলে বিদ্যালয়ের আয় ব্যয় হিসাব দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন, এবং মনগড়া হিসাব প্রদান করেন , অডিট কমিটি প্রায় ৩৩ লক্ষ টাকার অনিয়ম খুজে পান ৷

এছাড়া ও এলাকাবাসীর অভিযোগ ফারুক হোসাইন বিদ্যালয়ে যথা সময়ে উপস্থিত থাকেন না, ইচ্ছে মত কখনও ১২ টায় আবার কোন কোন দিন দুপুর ১টায় বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন। এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করেন, বিগত ২০১৯ সালে সিনিয়র এম পি ও করে দেন মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ এম পি , একই কায়দা পূর্বের মত( এম পি ও) করার নাম করে আরো ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা করেন বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসাইন। এতে এলাকার সচেতন মহল ক্ষুদ্ধ হয়ে ২০১৯ সালে সাধারণ সভার আয়োজন করেন। ওই সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফারুক হোসাইন বিদ্যালয় একাউন্টে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা দিবেন বলে স্বীকার করেন। তবে আজ অবধি বিদ্যায়ল একাউন্টে কোন টাকা জমা প্রদান করেননি তিনি। এলাকার সচেতন মহলের অভিযোগ প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসাইন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে ভুল বুঝিয়ে, ভুল হিসাব প্রদান করে বলেন যে বিদ্যালয় ঋণ আছে৷ বিদ্যালয়ের দেনা ৬ ছয় লক্ষ টাকা পরিশোধ করবেন বলে দাতা সদস্য করার সিদ্ধান্ত নিয়ে কমিটির আজীবন দাতা সদস্য ও প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং অবিভাবক সদস্য ব্যতিরেকে ফারুক হোসাইন এর মা ও সহধর্মিণী কে নতুন দাতা সদস্য করার জন্য রেজুলেশন ও করেন৷ কিন্তু বিদ্যালয়ের একাউন্ট চেক করলে দেখায় যায় কোন টাকা জমা না করেই রেজুলেশন করেছেন, এলাকাবাসী দাবি করেন এভাবেই বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের টাকা আত্ম্যসাথ করে যাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসাইন৷ এসব নিয়ে এলাকার সচেতন মহল কথা বললে কোন পাত্তা দেন নি বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক। যার ফলে এলাকার জনমনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে এবং যে কোন সময় হতাহত সহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে৷

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আতিকুর রহমান, প্রতিষ্ঠাতা সদস্য আব্দুস ছালাম ও অবিভাবক সদস্য বাবুল আহমদ।

এ ব্যাপারে জানতে প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসাইন মোটোফনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, প্রথম জুনিয়র এমপিও এর সময় (২০১৩) সালে তিনি শিক্ষা মন্রনালয়ের এক কর্মকর্তাকে সাড়ে চার লক্ষ টাকা দিয়েছেন যা পরবর্তীতে এলাকার মুরব্বীয়ানগণকে অবহিত করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে যে সমস্থ টাকা আত্মসাথের অভিযোগ আনা হয়েছে তার হিসাব তিনি এলাকাবাসীকে দিয়ে দিয়েছেন।

এদিকে প্রধান শিক্ষক ফারুক হোসাইন কর্তৃক ৩৩লক্ষ টাকা আত্মসাৎ’র ঘটনায় প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষককে নিয়ে স্থানীয় পরগনাবাজারসহ উপজেলার সর্বত্র দুম্রজাল চলছে। (পর্ব-১)

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..