সিলেট ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৩৪ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় কীটনাশক পানে সুমা রানী দাস (২১) নামের এক গৃহবধূ মারা গেছেন।
কীটনাশক পানের প্রায় ২৪ ঘন্টা পর সোমবার (২১ জুন) সকালে তিনি মারা যান। রোববার (২০ জুন) তিনি স্বামীর বাড়িতে কীটনাশক পান করেন। সুমা পৌর শহরের তেলিগুল গ্রামের মোহন দের স্ত্রী। সুমা রানী দাস এক সন্তানের জননী।
গৃহবধূর স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা পৌরসভার তেলিগুল গ্রামের মোহন দের স্ত্রী সুমা রানী দাস রোববার সকালে স্বামীর বাড়িতে কীটনাশক পান করেন। ঘটনা জানার পর স্বামীর বাড়ির লোকজন তাকে প্রথমে বড়লেখা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে স্থানীয় একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সুমা মারা যান। পরে স্বজনরা তার লাশ বড়লেখা থানায় নিয়ে যান। সেখানে সুরতহাল শেষে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সুমা রানী দাস সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়া নয়াগাঁও গ্রামের গণেশ চন্দ্র দাসের মেয়ে। প্রায় একছর আগে বড়লেখা পৌরসভার তেলিগুল গ্রামের মহানন্দ দের ছেলে মোহন দের সাথে তার (সুমা দাস) বিয়ে হয়।
এদিকে নিহতের স্বজনদের অভিযোগ সুমার স্বামী তাকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। রোববার সকালে স্বামী তাকে নির্যাতন করে। এসময় মোহন (সুমার স্বামী) কীটনাশক পান করে তাকে (সুমা) মৃত্যুর প্ররোচনা দেয়। এরপর গৃহবধূ সুমা কীটনাশক পান করেন।
নিহত সুমার মামা অতুল দাস মুঠোফোনে বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে ভাগ্নিকে তার স্বামী প্রায়ই নির্যাতন করত। সে (মোহন) মাদকাসক্ত ছিল। এই বিষয় নিয়ে অনেকবার পারিবারিকভাবে বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু তিনি (সুমার স্বামী) শুধরাননি। রবিবার সুমার শ্বশুর বাড়ির আশপাশের লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারি সুমা বিষ পান করেছে। এরআগে সকালে তার স্বামী তাকে নির্যাতন করে বিষ খেয়ে মারা যাবার কথা বলে। এরপরই সে (সুমা) বিষ পান করে।’
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন দরদার সোমবার (২১ জুন) বিকেলে বলেন, ‘এক নারী বিষ খেয়ে মারা গেছেন। এই ঘটনায় তার পরিবার থানায় অপমৃত্যু মামলা দিয়েছে। লাশের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd