সিলেট ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:২৫ অপরাহ্ণ, জুন ১৮, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সুরমা নদী থেকে অবৈধ বালু-মাটি উত্তোলন করছে একদল মাটিখেকো। জনৈক মিজানুর রহমান ডিপজল উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মারুফ আহমদের নেতৃত্বে ওরা খাবলে খাচ্ছে সুরমা তীর।ফলে নদীভাঙ্গন চরম আকার ধারন করছে। কানাইঘাট উপজেলাধীন উজান বীরদল বাঘা বাজার সংলগ্ন ইজারা অযোগ্য এলাকা থেকে এ বালূ- মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। মাটিখেকোরা শাসকদলীয় নেতা ও হোতা। তাই নদী ও নদীতীর রক্ষায় বিহীত কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।
অভিযোগে প্রকাশ- কানাইঘাট উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মারুফ আহমদ ও তার পার্টনার মিজানুর রহমান ডিপজল দুজনই বালু-মাটি ব্যবসায়ী। আজ থেকে প্রায় ১৫ দিন পূর্বে তারা সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলাধীন নোয়াগাঁও মৌজাস্থ সুরমার নদী বালু মহালের ইজারা গ্রহণ করেন। কিন্তু ইজারাকৃত মহালের প্রায় ১০-১২ কিলোমিটার উজানে গিয়ে কানাইঘাট উপজেলাধীন উজান বীরবল এলাকায় ইজারা অযোগ্য সুরমা নদী খোদাই করতে শুরু করেছেন। দৈনিক লাখ লাখ ঘনফুট বালু-মাটি উত্তোলন করে স্থানীয় খেলার মাঠ নামে জেলার বিভিন্ন প্রজেক্ট এলাকায় বিক্রি করছেন তারা। বালু-মাটি উত্তোলন স্থল ইজারা বহির্ভুত হলেও নিজ বাহুর বলে তারা দেদারছে নদী খোদাই ও সাবাড় করে নিচ্ছেন। অবৈধ হাইড্রলিক ড্রেজার ব্যবহার করে ভেঙ্গে ফেলছেন নদী তীর। ফলে ওই এলাকার সুরমা তীরবর্তী বাড়িঘর, ক্ষেতের জমি,হাটবাজার, স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদ এবং পাউবো’র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ চরম হুমকির মূখে। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে তাদের দেওয়া হয় হামলা-মামলার অহরহ হুমকি। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় এমপিকে অবগত করা হলেও রাজনৈতিক কিংবা অজ্ঞাত কারণে অবৈধ বালু-মাটি উত্তোলন বন্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এলাকাবাসী যান্ত্রিক নদীভাঙ্গন রোধে অবৈধ বালু-মাটি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে সরকার ও প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান ডিপজলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কানাইঘাট উপজেলাধীন এলাকা থেকে বালু-মাটি উত্তোলনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- আমি জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়ন এলাকাস্থ একটি মহালের ইজাদার। কানাইঘাট উপজেলাধীন এলাকা থেকে বালু-মাটি উত্তোলনের অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন ব্যানার্জি’র সাথে শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার সরকারি ফোন সবসময় ব্যস্ত পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে কানাইঘাটের এসি ল্যান্ড আবিদা সুলতানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ পৌঁছার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ পাওয়া গেলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd