সিলেট ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৪৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২১
বিশেষ প্রতিবেদক :: সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে জাদুকাটা বালু মহাল খুলে দেয়ায় লাখো শ্রমিক পরিবারের সদস্যদের মুখে ফুটে উঠেছে হাসির ঝিলিক।
সুপ্রিম কোর্টের দেয়া রায় কার্যকর করতে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন ইজারা গ্রহিতাদের জাদুকাটা বালু মহালের সীমানা নির্ধারণ পুর্বক দখলদারিত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ২৩ মার্চ জেলা প্রশাসনের জাদুকাটা বালু মহাল ইজারা প্রদান কার্যক্রমে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে মেসার্স নিলম এন্টারপ্রাইজ ও মেসার্স আজাদ হোসেন প্রায় ১০ কোটি টাকায় বালু মহাল ইজারা পান।
অপরদিকে, মহাল নিতে না পেরে একটি মহল হাইকোর্টে ইজারা কার্যক্রম বন্ধ করতে রিট দায়ের করে। এরপর নিলাম প্রাপ্ত ইজারাদাররা স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে পালটা রিট করেন।
ওই বালু মহাল ইজারার কার্যক্রমকে বৈধ ঘোষণা করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে ৫ সদস্যের ফুল বেঞ্চ ১ জুন রায় ঘোষণা করেন।
এদিকে রায়ের কপি না পৌঁছায় বিগত দুই বছর ধরে কর্মহীন লাখো শ্রমিক কাজে নামতে পারছিলেন না শ্রমিকরা।
এ নিয়ে ৯ জুন ‘রায়ে বৈধ ঘোষণার পরও জাদুকাটায় কাজে নামতে পারছেন না লাখো শ্রমিক, একই দিন ‘রায়ের কপি না পৌঁছায় জাদুকাটায় কাজে নামতে পারছেন না শ্রমিকরা’ শিরোনামে দেশের একটি শীর্ষ জাতীয় দৈনিকে সরজমিন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
সংবাদ প্রকাশের তিন দিনের মধ্যে রায়ের কপি পৌঁছার সাথে সাথে জেলা প্রশাসন সুপ্রিমকোর্টের আদেশ দ্রুত কার্যকর করতে উদ্যোগে নেন।
পরবর্তীতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জসিম উদ্দিন,তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রায়হান কবির,রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর এস এম রেজাউল করিম, থানার বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ মো. রাজিবুল হাসান, তহশীলদার, সার্ভেয়ার, পুলিশ, ২৮- বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন বিজিবি প্রতিনিধি সহ সংশ্লিষ্টরা সরেজমিনে গিয়ে জাদুকাটা নদী বালু মহাল ইজারা গ্রহিতাদের দখলদারিত্ব বুঝিয়ে দেন শনিবার ১২ জুন।
এ সময় জেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. জিয়াউল হক,তাহিরপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন,বাদাঘাট ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, মহাল ইজারা গ্রহিতা মের্সাস নিলম ট্রেডিং এর সত্বাধিকারী সেলিম আহমেদ, মেসার্স আজাদ হোসেন এর সত্বাধিকারী আজাদ হোসেন সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে জাদুকাটা বালু মহাল রাষ্ট্রীয় স্বার্থে পুন:রায় খুলে দেয়া হয়েছে। এতে লাখো কর্মহীন শ্রমিকের কর্মসংস্থানের আবারো সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পরিবেশ ধ্বংস করে জাদুকাটা নদীর পুর্ব-পশ্চিম তীর কেটে কিংবা কোয়ারি খনন করে কেউ অবৈধভাবে বালু পাথর উক্তোলন করবেন না। এর ব্যাত্যয় ঘটালে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে উক্তোলনকৃত বালু পাথর জব্দ করা হবে।।,
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd