সিলেটে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে পিত্রালয়ে নাজমিন, যৌতুক লোভী স্বামী তরিকুলের দ্বিতীয় বিয়ে

প্রকাশিত: ৬:৪০ অপরাহ্ণ, জুন ৯, ২০২১

সিলেটে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে পিত্রালয়ে নাজমিন, যৌতুক লোভী স্বামী তরিকুলের দ্বিতীয় বিয়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের শাহপরান (রহ:) থানাধীন বটেশ্বর খাঠিমারা গ্রামে এক গৃহবধুকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে গত (৬ জুন) নাজমিন আক্তার বাদি হয়ে স্বামী তরিকুল ইসলাম সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে শাহপরান (রহ:) থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বটেশ্বর খাঠিমারা গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের মেয়ে নাজমিন আক্তারের বিয়ে হয় একই এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে তরিকুল ইসলাম (৩১) এর সহিত। ২০১৮ সালের (৫ মে) পারিবারিক ভাবে ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা দেনমহরে তাদের বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকে নাজমিনকে স্বামী তরিকুল ইসলাম বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে পিত্রালয় থেকে টাকা দিয়ে আসার কথা বলেন। স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনে চাপের মুখে পড়ে পিত্রালয় ও স্বজনদের নিকট থেকে ৭০ হাজার টাকা তাদেরকে দেন। সর্বশেষ যৌতুক লোভী স্বামী আরও ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ প্রয়োগ করেন। পরে টাকা দিতে অপরগাতা প্রকাশ করায় স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা নাজমিনের উপর নির্যাতন শুরু করেন। তাদের নির্যতনের এক পর্যয়ে নাজমিন স্বামীর বাড়ি ছেড়ে তার স্বজনদের কাছে আশ্রয় নেন।

পরে এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় এলাকার শালিস ব্যাক্তি সহ স্বজনদের বিষয়টি অবগত করে গত (২ জুন) বিকালে নাজমিন তার মাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে যান। সেখানে যাওয়ার পর তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন নাজমিনকে জানান স্বামী তরিকুল ইসলাম আরেকটি মেয়েকে বিয়ে করেছে। কিন্তু সেই বিয়ের খবর জানতেন না নাজমিন। বিষয়টি জানার পর প্রতিবাদ করেন নাজমিন। এতে কিপ্ত হয়ে যৌতুক লোভী স্বামী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা নাজমিন ও তার মাকে মারধর করেন। অসহায় নাজমিন এখন স্বামীর পরিবার ছেড়ে তার পিত্রালয়ে।

অভিযুক্তরা হলেন- বটেশ্বর খাঠিমারা গ্রামের বাসিন্দা যৌতুক লোভী স্বামী তরিকুল ইসলাম (৩১), তার ভাই তুহিন আহমদ (২৭), তার পিতা আব্দুর রশিদ, মা তাছলিমা বেগম ছালো (৫০), তার দ্বিতীয় স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা (২০)। বর্তমানে অভিযোগটি শাহপরান (রহ:) থানায় তদন্তাধীন।

গত (২৩ মে) সিলেট সদর উপজেলার ৪নং খাদিমপাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডস্থ পীরেরচক গ্রামের সাইফুল ইসলামের মেয়ে রাজিয়া সুলতানা নিখোঁজ হন। পরে সুলতানার কোনো সন্ধান না পাওয়ায় মঙ্গলবার (২৬ মে) এসএমপির শাহপরাণ (রহ.) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন নিখোঁজ তার পিতা সাইফুল ইসলাম। জিডি নং-১২৮১ (তাং-২৬/০৫/২০২১ইং)।

কিন্তু রাজিয়া সুলতানাকে বাগিয়ে নিয়ে যায় যৌতুক লোভী তরিকুল ইসলাম। পরে রাজিয়া সুলতানাকে বিয়ে করছেন বলে দাবি করেন তরিকুল। কিন্তু কোথাও কোন কাজী অফিসে বিয়ের তথ্য পাওয়া যায়নি।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..