সিলেট ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১লা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৯:৪১ অপরাহ্ণ, জুন ৮, ২০২১
কানাইঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের কানাইঘাটে প্রাকসিস কোচিং সেন্টারের প্রতারণা সহ নানা অপকর্ম তুলে ধরে এক শিক্ষার্থী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন্ত ব্যানার্জি বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম তাৎক্ষণিক ঐ কোচিং সেন্টারে যান। সেখানে কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িত আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের সাথে তিনি কথা বলেন।
এ সময় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের কাছে প্রাকসিস কোচিং সেন্টারের অনুমতি পত্র দেখতে চাইলে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ তা দেখাতে পারেনি।
এমনকি যেখানে সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্টান সহ কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রয়েছে সেখানে বিধি বহিঃভুত কোচিং ক্লাস ওরা কিভাবে নিচ্ছে? এমন প্রশ্ন করলে তাদের কাছ থেকে কোন সৎ উত্তর পাননি মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। এদিকে গত সোমবার বেলা ১টায় এ অভিযোগ দায়ের করেন কামরুন নাহার নামের একজন শিক্ষার্থী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় কামরুন নাহার ইংরেজী শিক্ষার জন্য গত ১৪ মার্চ “কানাইঘাট প্রাকসিস” নামক ইংরেজী কোচিং সেন্টারে নগদ ১২ হাজার টাকা পরিশোধ করে ভর্তি হন। এরপর কামরুন নাহার সেখানে কোচিং করতে ক্লাসে যান।
এতে মেয়েদের প্রতি শিক্ষকদের অনৈতিক বিভিন্ন ইশারা ইঙ্গিত তিনি লক্ষ্য করেন। এবং অনৈতিক ব্যবস্থাপনা দেখিতে পান। এমনকি প্রাকসিস কোচিং সেন্টারে যে রকম শিক্ষকদের প্রয়োজন সে রকম একজন শিক্ষকও সেখানে নেই। সব কিছু লক্ষ্য করে কামরুন নাহার বুঝতে পারেন যে, তিনি এখানে প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রাকসিস কোচিং সেন্টারের সাথে জড়িত বিষ্ণুপুর গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের পুত্র আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ ও সুতারগ্রামের মাহদি মাহিনকে আসামী করে কামরুন নাহার বলেন এটা কোন কোচিং সেন্টার নয় এটা প্রতারণার ফাঁদ।
কামরুন নাহার জানান তিনি যুক্তরাজ্যে যাওয়ার জন্য ইংরেজি কোচিং করতে মুলত এখানে ভর্তি হয়েছিলেন। কিন্তু প্রাকসিস কোচিং সেন্টার নামে তারা এখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। তার দাবী যাতে আর কোন শিক্ষার্থী তার মত এখানে প্রতারণার স্বীকার না হয়, প্রশাসন যেন তদন্তপূর্বক দ্রুত সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd