নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ একাংশ) আসনের সদ্য প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুর পর শূন্য হয়ে যাওয়া আসনে উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীদের নিয়ে ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে আলোচনা। কে হচ্ছেন এই আসনের পরবর্তী সংসদ সদস্য, এই নিয়ে এখন সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে চলছে নানা তর্ক-বিতর্ক।
গত ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনে পরপর আ.লীগের দলীয় তিনবারের এমপি মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুর পর গত ১৫ মার্চ সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন যদিও আসছে রমজানের আগে নির্বাচনের সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে। তবে আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী প্রার্থীরা ইতোমধ্যে মাঠে চষে বেড়াচ্ছেন। অনেকে বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের মাত্রা বাড়ানোর পাশাপাশি নির্বাচনী মাঠ দখলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন। দিচ্ছেন নানা ধরনের প্রতিশ্রুতি।
জানা যায়, আসনটিতে আ.লীগের মনোনয়ন পেতে বেশ কয়েকজন নেতা দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন। তাদের প্রায় সকলেই দলীয় মনোনয়ন নিতে কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারণী ও তৃণমূল পর্যায়ে লবিং করছেন। এর মধ্যে বিগত রমজান মাসে এবং মহামারী কালীন সময় দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার অসহায় ও কর্মহীন অসচ্ছল মানুষের মধ্যে খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ ও সাস্থ সামগ্রী বিতরণ করে তৃনমুলে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ ম্যানচেস্টার শাখার সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্যার এনাম উল ইসলাম। তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন গ্রাম হবে শহর এই প্রতিপাদ্য কে ধারণ করে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও এলাকার কে এম টিলা গ্রাম কে শহরে রুপান্তরিত করে প্রায় ৩ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে আছেন স্যার এনাম। নির্বাচনের ব্যাপারে স্যার এনাম উল ইসলাম বলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করছি,,তাছাড়া সিলেট ৩ আসনের বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আমার পুর্বপুরুষের ধারাবাহিকতায় আমি সাহায্য করে আসছি।আমার সার্বিক কর্ম কান্ড বিবেচনা করে নেত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন তবেই আমি নির্বাচন করবো। এছাড়া সিলেট জেলা আ.লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব। গত জাতীয় নির্বাচনে তিনি আ.লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন কিন্তু সভা নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি প্রয়াত সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরীকে সমর্থন দিয়ে প্রার্থিতা থেকে সরে যান।
আ.লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজও এই আসনে মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন। আ.লীগের তিনবারের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জানান, আমি আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন পাব এটা শতভাগ আশাবাদী। কারণ, সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করেছি আমি।
এছাড়া আ.লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ার আশায় আলোচনায় রয়েছেন বিএমএ’র কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল। তিনি জানান, সিলেট-৩ আসনটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ চায় কোনো সরকারি সাবেক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা ক্ষমতায় আসুক। তাহলে এলাকায় মানুষের ভাগ্য খুলবে, উন্নয়ন হবে।
ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আ.লীগের অধিক সংখ্যক নেতা নৌকার প্রতীকের প্রত্যাশী হলেও দলের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, কেন্দ্র থেকে নৌকা নিয়ে যে আসবে তার পক্ষেই কাজ করবে সবাই। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী সিলেট-৩ আসনে মোট ২ লাখ ৫৫ হাজার ৩০৯ ভোটারের মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২৮ হাজার ৬১৮ এবং নারী ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজার।
Sharing is caring!