গোয়াইনঘাটের মামলাবাজ তাজ উদ্দিনের নির্যাতনে বাড়ি ছাড়া একটি অসহায় পরিবার

প্রকাশিত: ৬:৪১ অপরাহ্ণ, জুন ৬, ২০২১

গোয়াইনঘাটের মামলাবাজ তাজ উদ্দিনের নির্যাতনে বাড়ি ছাড়া একটি অসহায় পরিবার

গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়নের পাতনী গ্রামের মামলাবাজ তাজ উদ্দিনের নির্যাতনে বাড়ি ছাড়া একটি অসহায় পরিবার। মামলাবাজ তাজ উদ্দিন উপজেলার পাতনী গ্রামের মৃত- রজব আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাজ উদ্দিনের ছোট ভাই পুলিশে চাকরির সুবাদে স্থানীয়দের বিরুদ্ধে মামলা দিতে পরোয়া করেননি তিনি। তার এমন নির্যাতন ও মামলার শিকার হয়ে কারাভোগ করছেন খলিলুর রহমান। বাকিরা ভয়ে নারী-শিশুসহ পরিবারের প্রায় ৩০ জন সদস্য বাড়ি ছাড়া।

বর্তমানে তাজ উদ্দিনের মিথ্যা মামলায় বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পাতনী গ্রামের ইসমাইল আলীর ছেলে মজম্মিল আলী, মৃত আহমদ আলীর ছেলে আফতাব উদ্দিন, খলিলুর রহমান, কুতুব উদ্দিন, কামাল উদ্দিন, মেয়ে সাহেদা বেগম, আফতাব উদ্দিনের স্ত্রী রাবেয়া বেগম, খলিলুর রহমানের স্ত্রী হাফসা বেগম, কুতুব উদ্দিনের স্ত্রী হোসেনে আরা বেগম, কামাল উদ্দিনের স্ত্রী সুফিয়া বেগম, এছাড়া প্রতিবন্ধি বৃদ্ধ মহিলা ফাতিমা উরফে ফাতই (৮০)।

এই অসহায় লোকদের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় আকটি মামলা দায়ের করেন যার নংÑ০৩, তারিখ- ০২- ০৬-২০২১ ইং।
পূর্বে তাজ উদ্দিন এই পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে থানায় আরো দুটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে থানা পুলিশ অভিযোগের বিষয়টি থানায় তদন্তের জন্য উভয় পক্ষের লোকজনকে নিয়ে একটি সালিশ বৈঠকে বসেন। এতে সালিশ চালকালীন অবস্তায় পুলিশের উপস্থিতিতে সালিশ ব্যাক্তিদের গালিগালাজ করেন তাজ উদ্দিন। এখানেই শেষ নয় ওই সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১নং রুস্তমপুর ইউনিয়নের এক সালিশ ব্যাক্তি পাতনী গ্রামের বাসিন্দা মজম্মিল আলী। পরে তাকে আসামি করে মামলা করেন তাজ উদ্দিন।
বেপরোয়া মামলাবাজ তাজ উদ্দিনের মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন এলাকার অনেক সালিশ ব্যাক্তি। স্থানীয়রা তার এমন নির্যাতনে অতিষ্ট। তাজ উদ্দিন মানছে না এলাকার কোন সালিশ বৈঠক। মামলাই যেন তার কাজ।

স্থানীয়রা আরও জানান, তাজ উদ্দিন এই পর্যন্ত কতোটি মামলা দায়ের করেছেন তিনি নিজেই বলতে পারবেন না। এর মধ্যে অধিকাংশ অভিযোাগ সালিশের মাধ্যমে টাকা নিয়ে নিস্পত্তি করে। মামলা রেকর্ড ভূক্ত হয়নি। যার ফলে এলাকায় তিনি মামলাবাজ হিসাবে পরিচিত।

থানায় পুলিশের সামনে এলাকার সালিশ ব্যাক্তি মজম্মিল আলী সাথে কথা কাটাকাটি ও মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তাজ উদ্দিন বলেন, জি আমি মামলা দিয়েছি। মজম্মিল আলী সে কিশের মুরব্বি। এলাকায় কোন মুরব্বি নাই। মজম্মিল আলীর সাথে কিশের বিরোধ জানতে চাইলে তিনি বলেন, লাখ লাখ টাকার বিরোধ। আপনি এই পর্যন্ত থানায় মানুষের বিরুদ্ধে কতোটি মামলা দায়ের করেছেন, মানুষ আমার লগে লাগলে আমি মামলা করি ও জিডিও করি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল আহমদ বলেন, তাজ উদ্দিন যে মামলা দিয়েছে তা সঠিক নয়। এলাকা একজন সালিশ ব্যাক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করা তার উচিৎ হয়নি। সালিশ ব্যাক্তির বিরুদ্ধে এই মামলার বিষয়ে গোয়াইনঘাটের সার্কেল সহ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সরেজমিন তদন্ত করেন।

গোয়াইনঘাটের সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ বলেন, তাজ উদ্দিনের মামলার বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করা হয়েছে এবং তদন্ত কাজ বাকি রয়েছে।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..