সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৪০ অপরাহ্ণ, জুন ৬, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ও দশঘর ইউনিয়নে অবস্থিত চাউলধনী হাওর। এ হাওরের লীজ গ্রহীতা লন্ডনি সাইফুলের গুলিতে নির্মমভাবে খুন হয় স্কুল ছাত্র সুমেল ও কৃষক ছরকুম আলী দয়াল। গত ১ মে দুপুরে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চৈতনগর গ্রামে এ হত্যাকান্ড ঘটে। এর দুমাস পূর্বে হাওরের পানি সেচে বাঁধা দেয়ায় হত্যা করা হয় কৃষক দয়ালকে।
এ ঘটনায় সাইফুল ও তার বাহিনীকে খুনের পর পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করেন বিশ্বনাথ থানার সাবেক ওসি শামিম মুসা ও এসআই ফজলুর রহমান। বিষয়টি পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার দৃষ্টি গোচর হলে পুলিশের এ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনে সিলেট গোলাপগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাশেদুল হক চৌধুরীকে নির্দেশ দেয়া হয়।
এরই প্রেক্ষিতে রাশেদুল হক রবিবার দুপুরে হত্যাকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। পুলিশ সুপার এ দুই হত্যাকান্ডের ঘটনায় ওসি শামিম মুসা ও এসআই ফজলু কি ভুমিকা পালন করে এবং কিভাবে খুনিদের পালিয়ে যেতে সহযোগীতা করে তা এলাকাবাসির কাছ থেকে জেনে বেশ কিছু স্বাক্ষীও গ্রহণ করেন। পুলিশ সুপারের আগমনের খবরে ছুটে আসেন এলাকার সর্বস্থরের কৃষকরা।
এসময় এলাকাবাসি পুলিশ সুপারকে বলেন, সাইফুল ও তার বাহীনির সঙ্গে থানা পলিশের গভীর সম্পর্ক থাকায় এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। শুধু এখানেই শেষ নয়, সুমেলকে খুনের পর এসআই ফজলু একজন আসামিকে দিয়ে আলামত নষ্ট করে দেন। পরে থানার ওসি শামিম মুসা মোবাইল ফোনে খুনি সাইফুলকে পালিয়ে যেতে নির্দেষ দেন। ওসির নির্দেশে সাইফুল দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়।
তারা বলেন, সুমেল হত্যাকান্ডে আজ প্রায় ১মাস ৬দিন অতিবাহিত। কিন্তু জোড়া খুনের পরও আসামিরা এখনও অধরা থাকায় আমরা এলাকাবাসি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
পুলিশ সুপার এলাকাবাসির উদ্দেশ্যে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, এই এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ সার্বক্ষনিক প্রস্তুত আছে। খুনি সাইফুল ও তার বাহিনীকে গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশের ৩টি টিম ও র্যাব মাঠে কাজ করছে। যে কোন সময় আসামিরা গ্রেফতার হতে পারে। তাই এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় কেউ যেন আর কোন বিশৃঙ্খলা না ঘটায় এবং কেউ যেন আইন হাতে তুলে না নেয় সেদিকে সকলের সজাগ সৃষ্টি রাখতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চাউলধনী হাওর কৃষক বাচাঁও আন্দোলনের আহবায়ক আবুল কালাম, ইউনিয়ন আলীগের সভাপতি আরিফ উল্লাহ সিতাব, আনোয়ার হোসেন ধন মিয়া, ইউপি সদস্য সামসুদ্দিন আহমদ, আব্দুল মজিদ, নিতহ সুমেলের চাচা নজির আহমদ, মামলার বাদি ইব্রাহিম আলী সিজিল, আহমদ আলী, আফজল হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd