সিলেট ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫৯ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : একটি বা দুইটি নয় পঞ্চাশোর্ধ এক দম্পতির বিরুদ্ধেই ছিল ২২টি মামলা। এতগুলো মামলার পরেও গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে ছিলেন তারা। তবে খুব বেশিদিন আর পালিয়ে বাঁচতে পারলেন না তারা। ধরা পড়েছেন র্যাবের অভিযানে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দিনগত রাতে রাজধানীর কলাবাগান থানাধীন বাংলামোটর এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাজাপ্রাপ্ত-গ্রেফতারি পরোয়ানাসহ ২২ মামলার পলাতক আসামি সেই দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৪)। গ্রেফতারকৃত দম্পতি হলেন- এইচ এন এম সফিকুর রহমান (৫৯) ও তার স্ত্রী কাজী সামছুল নাহার মিনা (৫৪)।
র্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, সফিকুর রহমান ২০০২ সালে আইডিয়াল কো-অপারেটিভ সোসাইটি লি. নামে একটি সমবায় প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এই প্রতিষ্ঠানের তিনি নিজে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে ছিলেন এবং তার পরিবারের সদস্যরাই ওই প্রতিষ্ঠানের অন্য গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি লোকজনের কাছ থেকে হাজার কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন।
এরপর ‘আইসিএল রিয়েল স্টেট’ নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান খুলে আবাসন ব্যবসা শুরু করেন তিনি। এ ব্যবসায় নেমেও তিনি মানুষের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
ভুক্তভোগীরা সফিকুরের নামে থানায় ও কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের করলেও তিনি ভুক্তভোগীদের ভয়ভীতি দেখাতেন। যার অনেকেই তার বিরুদ্ধে মামলা করতে সাহস পায়নি।
এরপরেও তার ও তার স্ত্রীর নামে আদালতের সাজাসহ মোট ২২টি ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়। এরপর থেকেই পলাতক ছিলেন এই দম্পতি। গ্রেফতার এড়াতে তারা প্রতি দুই-তিন মাস পর বাসা পাল্টানো এবং মোবাইল নম্বর পরিবর্তন করতে থাকেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আসামিদের অবস্থান চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় র্যাব-৪। জানা যায়, গ্রেফতার দম্পতির বিরুদ্ধে পল্টন ও চৌদ্দগ্রাম, খিলক্ষেত থানায় দায়ের করা বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ও গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। এছাড়া আরো কিছু মামলা তদন্তাধীন।
এএসপি জিয়াউর রহমান চৌধুরী আরো জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করেছেন এবং তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়া প্রতারিত অসংখ্য ভুক্তভোগী এই প্রতারক দম্পতির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd