সিলেট ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:১৩ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২১
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: ঈদকে সামনে রেখে শপিংমলে চলছে কেনাকাটার ধুম। এতে করে প্রতিনিয়ন উপজেলা ও পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন করোনায়।
সর্বাত্মক লকডাউনের পর, শর্ত সাপেক্ষে শপিংমল ও দোনপাট খুলে দেয়ার পর সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় সবকিছুই চলছে স্বাভাবিক সময়ের মতো। শপিংমল ও দোকানপাটে বেড়েছে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে, অনেকটা ‘খুশির সদাইয়ে’ ব্যস্ত মানুষ। স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই কোথাও।
দিন দিন বেড়ে চলছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। তবুও নেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার প্রবণতা।
এতে করোনার ঝুঁকি ও সংক্রমণ বেড়ে যাবার আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল। প্রশ্ন উঠেছে, সরকারের করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রম কতটুকু কাজে আসবে, তা নিয়ে।
এদিকে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে।
সরেজমিন উপজেলার কয়েকটি শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে কেনাকাটা। অধিকাংশ ক্রেতা ও বিক্রেতাগণ ব্যবহার করছেন না মাস্ক। মাস্ক ছাড়াই অভিভাবকদের সাথে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরছে শিশুরাও। অধিকাংশ দোকানে নেই স্যানিটাইজার, শপিংমলের বাহিরেও নেই হাত ধোয়ার বিশেষ ব্যবস্থা। মাছ, মাংস ও সবজির বাজারের চিত্রও অনুরুপ। আগের চেহারায় ফিরেছে সব।
ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরও করোনার ব্যবসা বন্ধই ছিলো। এ বছরও তাই হলে ব্যবসা গুটিয়ে নেয়া ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা আমাদের। তবে স্বাস্থবিধি ও সরকারি নিদের্শনার প্রতি খেয়াল রেখেই ব্যবসা পরিচালনা করছি আমরা।
উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১১ জন ও আইসোলেশনে রয়েছেন ১১ জন। আর বাকী আক্রান্তরা চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হয়েছেন।
এ বিষয়ে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দাশ সাংবাদিকদের বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমাদের মনিটরিং অব্যাহত আছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসাধারণকে আরও সচেতন হতে হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd