সিলেট ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৬ই রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১১:৫৩ অপরাহ্ণ, মে ৩, ২০২১
বিশ্বনাথ প্রতিনিধি : সিলেটের বিশ্বনাথে দুই অপহরণ মামলার আসামিসহ মোট ৭জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। মামলাটি দায়ের করেছিলেন, উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত রইছ আলীর পুত্র আব্দুল আলী, (মামলা নং-জিআর ১৯৭/২০ইং)। গত ২৬ জানুয়ারী এ চার্জশীট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আফতাবুজ্জামান রিগান।
মামলার আসামিরা হচ্ছে, গোবিন্দপুর গ্রামের আশিক আলীর পুত্র আফজল (৩০), রুহুল আমিন, (২২) মৃত রাহাত উল্লার পুত্র আশিক মিয়া , মানিক মিয়া, রফা মিয়ার পুত্র জুবায়ের আহমদ (২২), মৃত ময়না মিয়ার পুত্র আক্তার ফারুক (৩৭), মাসুক মিয়ার পুত্র মারুফ আহমদ (২৮)।
প্রসঙ্গ, আসমিরা ২০২০ সালের ৯সেপ্টেম্বরে পূর্ব শত্রæতার জেরে গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত রইছ আলীর পুত্র আব্দুল আলীকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে এবং তার এক হাত ভেঙ্গে দেয়। এ ঘটনার সেল্টার দাতা আক্তার ফারুকসহ ৭জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার প্রধান আসামি আফজাল দীর্ঘদিন হাজতবাসও করেছেন। বাকি আসামিরা উচ্চ আদালতের জামিনে থাকলেও ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীচ দাখিল করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন আছে।
আসামি আফজাল ও মারুফ গত ২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে রিপন আলী (২৭) নামের এক দিন মজুরকে অপহরণ করে। তাকে প্রথমে বেধড়ক মারধর করেছিল। তার মুখ ও হাত-পা কষ্টিপ দিয়ে বেঁধে সিএনজি অটোরিক্সায় তুলে হত্যার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে আটক হয় জনতার হাতে। এতে রিপন প্রাণে রক্ষা পেলেও তার শারিরীক অবস্থা খুব খারাপ হয়ে পড়ে। গত বুধবার সকালে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় রিপন বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন, (মামলা নং-১৮/২১ইং)।
অপহরণকারিদের পরিকল্পনা ছিল রিপনকে অপহরণ করে হত্যার পর লাশ প্রকিপক্ষ আব্দুল আলীর বাড়িতে রেখে তাদেকে ফাঁসানো। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, জনতার হাতে আটক হওয়ায় হয়রানী থেকে রক্ষা পান প্রশাসনসহ তার প্রতিপক্ষরা।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd