সিলেট ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩রা জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:১০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২১
আশিস রহমান, দোয়ারাবাজার: দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা ইউনিট এখন নামে মাত্র রয়েছে। তা থেকে সেবা পাচ্ছেন না সেবাগ্রহিতারা। পর্যাপ্ত ডিভাইস থাকা স্বত্ত্বেও গত কয়েক দিন ধরে করোনা টেস্ট বন্ধ রাখা হয়েছে। জনবল সংকটের অজুহাত দেখিয়ে কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ করে করোনা টেস্ট বন্ধ করে দেওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন সেবাগ্রহিতারা। তারা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন।
সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় দোয়ারাবাজার হাসপাতালে করোনা টেস্ট করাতে এসে অনেকেই হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা টেস্ট বন্ধ থাকায় জেলা সদর হাসপাতালের সরণাপন্ন হতে হচ্ছে। এতে নানান ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগ রয়েছে, দোয়ারাবাজার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা জনবল সংকটের দোহাই দিয়ে দায় সারছেন। উল্টো পরামর্শ দিচ্ছেন করোনা পরীক্ষা করতে জেলা সদর হাসপাতালের সরণাপন্ন হতে। এতে একদিকে নাজুক সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা অপরদিকে লকডাউনে যানবাহন চলাচল সীমিত হওয়ায় বিপাকে পরেছে উপজেলার দুর্গম প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবাগ্রহিতারা।শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে (২১ এপ্রিল) বুধবার দুপুর বারোটায় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে করোনা টেস্ট করাতে আসেন দোয়ারাবাজার উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও নূরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহম্মদ মশিউর রহমান।
তিনি জানান, ‘গত কয়েকদিন ধরে তীব্র জ্বর ও ব্যাথায় ভোগছি। করোনা টেস্ট করাতে গত তিনদিন ধরে দোয়ারাবাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি। হাসপাতালের টিএইচও ডাঃ দেলোয়ার হোসেন’র সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে জেলা সদর হাসপাতালে করোনা টেস্টের পরামর্শ দিয়েছেন এবং জানিয়েছেন জনবল সংকট থাকায় করোনা টেস্ট বন্ধ রাখা হয়েছে। তিন দিন অপেক্ষা করে আজ জেলা সদর হাসপাতালে এসে করোনা টেস্ট করালাম। জনবল সংকট থাকলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উচিত ছিলো ঘোষণা দিয়ে করোনা টেস্ট বন্ধ রাখা।’ শুুধু শিক্ষক মশিউর রহমান-ই নয়, গত কয়েক দিন ধরে দোয়ারাবাজার হাসপাতালে করোনা টেস্ট করাতে এসে তারমতো আরো অনেকেই টেস্ট না করে হতাশ হয়ে ফিরেছেন।
এবিষয়ে জানতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ দেলোয়ার হোসেনের মোবাইলে কল দেওয়া হলেও কল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি। যোগাযোগ করা হলে হাসপাতালের আরএমও ডাঃ আল আমিন জানান, ‘জনবল সংকটের কারণে করোনা টেস্ট করা হচ্ছেনা।’
মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সিভিল সার্জন ডাঃ শামস উদ্দিন জানান, ‘করোনা টেস্ট বন্ধ রাখা হয়নি। আজকেও স্যাম্পল পাঠানো হয়েছে। আমি বিষয়টি দেখব।’
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd