সিলেটে ট্রাক চালক হত্যাকারী হেলপার দিনাজপুরে গ্রেফতার, স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ১১:৩০ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৩, ২০২১

সিলেটে ট্রাক চালক হত্যাকারী হেলপার দিনাজপুরে গ্রেফতার, স্বীকারোক্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের ওসমানীনগরে ট্রাক চালক হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। হত্যাকান্ডে জড়িত একমাত্র আসামী শুকুর আলী ওরফে শুভ ইসলামকে (২১) দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানা পুলিশের সহায়তায় ওসমানপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে গাইবান্ধা জেলার পলাশ বাড়ী থানার জাইতর বালা গ্রামের মৃত জাফর আলীর ছেলে।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও ওসমানীনগর থানার সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম তাকে গ্রেফতার করে।

শুক্রবার তাকে বিজ্ঞ বিচারক অঞ্জন কান্তি দাসের আদালতে সোপর্দ করলে সে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান তরে।

উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ সকালে ওসমানীনগর থানাধীন গোয়ালাবাজারে পাথর বোঝাই ট্রাকে চালকের আসনের পিছনের কেবিনে অজ্ঞাত এক লোকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরে জনৈক স্বপ্ন মিয়া (২৭) মৃতদেহটি তার বড় ভাই মুজিবুর রহমানের (৪২) বলে সনাক্ত করেন। পরদিন ২৫ মার্চ স্বপ্ন মিয়া বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামীর বিরুদ্ধে ওসমানীনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার বিষয়ে অবহিত হয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ আসামী গ্রেফতারের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ প্রদান করেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মীয়া মোহাম্মদ আশীস বিন হাছান পিপিএম\\\’র নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম মামলার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় একাদিক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। এক পর্যায়ে ঘটনার একমাত্র আসামী ট্রাকের হেলপার শুভ’র অবস্থান সনাক্ত করে রংপুরসহ দিনাজপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অবশেষে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার করার সময় আসামীর হেফাজত থেকে ভিকটিমের মোবাইল ফোনসহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করে পুলিশ।

জানা যায়, ঘটনার দুই মাস আগে থেকে ভিকটিম মজিবুর রহমানের সাথে চুক্তিভিত্তিক হেলপার হিসেবে যোগ দেয় আসামী শুভ। চুক্তি মোতাবেক নিয়মিত টাকা পরিশোধ না করায় ক্ষোভে গত ২৩ মার্চ সিলেটের দুপাগুল এলাকা থেকে পাথর বোঝাই করে নারায়ণগঞ্জে যাওয়ার পথে রাত ১টার দিকে গোয়ালাবাজারে চালক মুজিবুর রহমান কেবিনে ঘুমিয়ে গেলে হেলপার শুভ হুইল রেঞ্জ দিয়ে মাথায় এবং চাকু দিয়ে গলায় আঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) মো. লুৎফর রহমান বলেন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনা ও ক্লোজ মনিটরিংয়ে ওসমানীনগরে একজন ট্রাক চালকের ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে জেলা পুলিশ। অপরাধীরা অপরাধ করে যে কৌশলেই আত্মগোপন করুক না কেন আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসতে বদ্ধ পরিকর।

Sharing is caring!

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..