বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে ধ্বসের হাত থেকে রক্ষা পেল বাউশি উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন ভবন। যদি না সেটা নজরে আসত নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌরপ্রশাসক সুমন চন্দ্র দাসের তাহলে জলেই আছড়ে পড়তো ভবনটি। তাঁর হস্তক্ষেপে ধ্বসের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের বাউশী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন। কিভাবে ভবনটিকে ধ্বসের হাত থেকে রক্ষা করেছেন তিনি, সেটা নিজেই সচিত্র তুলে ধরেছেন তার অফিসিয়াল ফেসবুক আইডিতে। ঘটনাটি শোনলে বিস্মিত হয়ে যাবেন যে কেউ। কতটুকু দায়িত্বজ্ঞানহীন কান্ড ঘটিয়েছেন ওই ভবন নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিশ্বনাথের নবাগত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সেই স্ট্যাটাস জন্যে হুবহু তুলে ধরা হল,
‘বাউশি উচ্চ বিদ্যালয়। আজ হাওরে বোরো ধান কাটা দর্শন শেষে বিদ্যালয়টির পিছনে সরকারের মানবিক প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের জন্য নির্মাণাধীন ঘর পরিদর্শনে গেলে ছবিগুলোর বাস্তব অবস্থা নজরে আসে। নতুন স্কুল ভবনটি এক মাস আগে কর্তৃপক্ষের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হলেও করোনা ভাইরাসের কারণে এখনো ব্যবহৃত হয় নি। বিদ্যালয়টির আরেকটি চারতলা ভবন নির্মাণের লক্ষ্যে অতি অবিবেচকের মত কাজ শুরু করে। আজ কোন এক সময় বৃষ্টি হলে যেকোনো মুহুর্তে নবনির্মিত ভবনটি ধ্বসে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। সরকারের সম্পদ রক্ষায় জনস্বার্থে তাৎক্ষণিকভাবে এক্সেভেটর ও ট্রাক জব্দ করে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তলব করি।
কারও পক্ষ হতে কোন সদুত্তর পাওয়া না যাওয়ায় ভবন নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মহোদয়কে ফোন অবহিত করে ত্বরিত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সাইট ইঞ্জিনিয়ার তা পরিদর্শন করে গর্ত ভরাটের কাজ শুরু করেন। অবশেষে সরকারি সম্পদ ও স্কুল ভবনটি সুরক্ষিত হচ্ছে। আসুন আমরা আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালনের চেষ্টা করি। এ দেশ আমার, এদেশের সম্পদও আমার।’
Sharing is caring!