সিলেট ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৩৬ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২১
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : করোনাভাইরাস পুরো বিশ্বকে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। প্রতিদিনই কেউ না কেউ বিদায় নিচ্ছেন পৃথিবীর মায়া ছেড়ে। এমন চরম বাস্তবতার মধ্যেও অনেক দৃশ্য আমাদের নাড়া দেয়। শনিবার বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের সামনের তেমনই একটি ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ওই ছবিতে দেখা গেছে, একজন মোটরসাইকেলচালক একটি অক্সিজেন সিলিন্ডার নিজের শরীরের সঙ্গে বেঁধে এবং বয়স্ক এক নারী আরোহীর মুখে অক্সিজেন মাস্ক লাগিয়ে দ্রুত গতিতে ছুটছেন হাসপাতালের দিকে। সঙ্গে আরেকটি মোটরসাইকেলে ছিলেন আরো দুইজন আরোহী।
বিকাল ৩টার দিকে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয়া হিরন পয়েন্ট নামক স্থানে এই দৃশ্য ধরা পড়ে।
সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সার্জেন্ট তৌহিদ টুটুল জানান, রোগী নিজেই বসে ছিলেন অক্সিজেন সিলিন্ডার বহনকারী মোটরসাইকেলচালককে ধরে। যিনি মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন তিনি হেলমেট পরা ছিলেন। তার চেহারা আমরা দেখতে পারিনি বা দেখার চেষ্টাও করিনি। তাদের থামিয়ে হয়তো পরিচয় শনাক্ত করতে পারতাম, কিন্তু সেটি হতো অমানবিকতা।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, অক্সিজেন পরিহিত যে নারী ছিলেন তার বয়স দেখে মনে হয়েছে মোটরসাইকেল আরোহীর মা হতে পারেন। আমরা নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছিলাম। তখন পটুয়াখালী-বরিশাল মহাসড়কের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দিক থেকে মোটরসাইকেলটি আসছিল। প্রথমে মোটরসাইকেলটিকে থামানোর সিগন্যাল দেই, কিন্তু যখনই দেখি মোটরসাইকেলে অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অক্সিজেন মাস্ক পরে রোগী যাচ্ছেন তখন এক সেকেন্ডের জন্যও মোটরসাইকেলটি থামাইনি। বরং দ্রুত যেন চলে যায় সে জন্য চেকপোস্টে ব্যবস্থা করে দেই।
তৌহিদ টুটুল বলেন, রোগীবাহী মোটরসাইকেলটির পাশে আরেকটি মোটরসাইকেল ছিল, সেটি তাদের স্বজনের। মূলত রোগী যেন পড়ে না যান সেজন্য তারা পাশাপাশি চালিয়ে আসছিলেন। আমরা চেকপোস্ট অতিক্রম করিয়ে দিলে গাড়ি দুটো দ্রুত বরিশাল শহরের দিকে চলে যায়।
এই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় অনেকেই চেকপোস্টে দায়িত্বপালনকারী সার্জেন্ট টুটুলকে প্রশংসা করেন।
তবে খোঁজ নিয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ছড়িয়ে পরা ছবির ওই রোগী বা স্বজনদের পাওয়া যায়নি।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd