জকিগঞ্জে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ ৬ জন কারাগারে

প্রকাশিত: ৮:২৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৯, ২০২১

জকিগঞ্জে স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ ৬ জন কারাগারে

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : সিলেটের জকিগঞ্জে দশম শ্রেণিতে পড়ূয়া স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টায় জড়িত প্রভাবশালী ৫ জনসহ মূল অভিযুক্ত সালমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় একটানা ২৪ ঘন্টা জকিগঞ্জ ইউনিয়নের রারাই গ্রামসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ এই ৬ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। শুক্রবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

জকিগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার মূল অভিযুক্ত রারাইগ্রামের আফতার হোসেনের ছেলে সালমান আহমদ (১৮), ঘটনা ধামাচাপায় জড়িত সেনাপতিরচক গ্রামের মৃত ফজই মিয়ার ছেলে হেলাল আহমদ, স্থানীয় ইউপি সদস্য সামসুল হক, রারাইগ্রামের মৃত আব্দুল জলিল টরইর ছেলে হাফিজ খালেদ, একই গ্রামের ফরল মিয়া, আমলশীদ গ্রামের আব্দুস সালামকে গ্রেফতার করা হয়। এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগে মূল অভিযুক্তসহ ধামাচাপায় জড়িত ৫ জনের নামোল্লেখ করা হয়। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ অভিযান করে অভিযুক্তসহ ধামাচাপায় জড়িত প্রভাবশালীদের গ্রেফতার করে। এদিকে, নির্যাতিতার ২২ ধারায় জবানবন্দি নিতে পুলিশ তাকে সিলেটের আদালতে প্রেরণ করেছে।

নির্যাতিত মেয়ের পরিবার জানিয়েছে, পুলিশের কাছে অভিযোগ দেবার পরপরই অভিযান শুরু হয়। ঘটনার মূল জড়িতসহ প্রভাবশালীরাও আইনের আওতায় এসেছে। তারা পুলিশের তৎপরতায় সন্তুষ্ট।

জকিগঞ্জ থানার ওসি আবুল কাসেম বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর সিলেটের পুলিশ সুপারের পরামর্শে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়ের নেতৃত্বে অভিযান করে অভিযুক্তসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় জানান, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রায় ২৪ ঘন্টা একটানা অভিযান পরিচালনা করে বিভিন্নস্থান থেকে ঘটনার আপোসের চেষ্টাকারী ৫ জনসহ মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। নির্যাতিত মেয়ের পরিবার যাতে কোন হয়রানীর শিকার না হয়, সেদিকে পুলিশ লক্ষ্য রেখেছে।

প্রসঙ্গত, গত ৫ এপ্রিল রাতে রারাই গ্রামের স্কুল পুড়য়া ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে পাশের বাড়ির সালমান আহমদ ধরে নিয়ে যায়। পরদিন ভোরে অসুস্থ অবস্থায় আবার ফেরত দিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী নির্যাতিতার পরিবারকে ঘটনা আপোষে নিষ্পত্তি করতে চাপ সৃষ্টি করে মারধরসহ হয়রানী করেছিলেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..