সিলেটে কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণ : অপহরক রুবেল আটক

প্রকাশিত: ৪:৩৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৪, ২০২১

সিলেটে কিশোরীকে অপহরণ ও ধর্ষণ : অপহরক রুবেল আটক

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : ধর্মীয় সম্পর্কের সূত্রধরে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়াপোর্ট থানার কোরবান টিলা এলাকা থেকে এক কিশোরীকে ফুসলিয়ে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। অপহরণের ৫দিন পর শনিবার বিকালে নগরীর দক্ষিণ সুরমার টেকনিক্যাল রোড এলাকা থেকে অপহরক আটক ও কিশোরীকে উদ্ধার করে স্বজনরা। পরে ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

আটক রুবেল মিয়া নগরীর বাঘবাড়ী এলাকার হানিফ আলীর কলোনীর মৃত সাইমুদ্দিনের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজারে তার বিরুদ্ধে একাধিক বিয়েরও অভিযোগ রয়েছে। এয়ারপোর্ট থানার ওসি খান মোহাম্মদ মইনুল জাকির জানিয়েছেন, মেয়ের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা নেওয়া হবে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত নয়। এজাহারে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানা গেছে, রুবেল মিয়ার স্ত্রী ওই কিশোরীর পিতাকে ধর্মীয় পিতা ডাকার সুবাদে তাদের পরিবারে যাতায়াত করত রুবেল। প্রথমদিকে ওই কিশোরীকে রুবেল বোন হিসেবে দেখে। সম্প্রতি তাকে একটি মোবাইল ফোনও কিনে দেয় সে। তাদের মধ্যকার ফোনালাপ ভালো চোখে দেখেননি কিশোরীর পরিবার। গত ২৯ মার্চ কিশোরীকে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি থেকে নিয়ে যায় রুবেল। প্রথমে রুবেল তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা করে।

ঢাকায় যাওয়ার পথে কিশোরী কান্নাকাটি করলে বাধ্য হয়ে রুবেল তাকে ফিরিয়ে নিয়ে এসে দক্ষিণ সুরমার টেকনিক্যাল রোডের একটি বাসায় উঠে। ওখানে দুইদিন তারা অবস্থান করে। ওই সময় তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করে কিশোরীর পরিবার। কৌশলের আশ্রয় নিয়ে কিশোরী ফোনে বিষয়টি তার পরিবারকে জানায়। শনিবার বিকালে ওই বাড়ি থেকে রুবেলকে আটক করে মারধর করেন কিশোরীর স্বজনরা। পরে তাকে ধরে কোরবান টিলায় নিয়ে আসা হয়। ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি জানানোর পর এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ রুবেলকে আটক ও কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের থানায় রাখা হয়। ধর্ষণের আলামত বা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে বলে জানা গেছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

সর্বশেষ খবর

………………………..