সিলেট ৪ঠা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১:২৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে খুন হওয়া রায়হান আহমদ হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজী হননি এএসআই আশেক এলাহিও। ৫ দিনের রিমান্ড শেষে মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) তাকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত।
রিমান্ডে থাকা অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এএসআই আশেক এলাহি। অসুস্থ অবস্থায় গত শনিবার (৩১ অক্টোবর) তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকেই মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে এএসআই আশেক এলাহীকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ ব্যুরে ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
জানা যায়, ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আশেক এলাহিকে মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে সিলেট অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়।
এসময় এএসআই আশেক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজী না হওয়ায় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সিলেটের এসপি মো. খালেদ উজ জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে এই মামলায় বরখাস্ত পুলিশ কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশীদকে গ্রেপ্তার করে দুই দফায় ৮দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তবে তারাও আদালতে জবানবন্দি দেননি। পরে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করেন।
গত ২৮ অক্টোবর পুলিশ লাইন্স থেকে এএসআই আশেক এলাহীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরদিন ২৯ অক্টোবর তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। আশেক বন্দরবাজার ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। রায়হান হত্যার পর তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪) নামের এক যুবক। পরে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।
এই ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হেফাজতে মৃত্যু আইনে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।
এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে রায়হানকে ফাঁড়িতে এনে নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ পায় কমিটি। এই তদন্ত কমিটির সুপারিশে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটুচন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।
স্ত্রীর দায়ের করা মামলাটির তদন্ত করছে পিবিআই। মামলার প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর পলাতক রয়েছেন।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd