সিলেট ১৩ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৯শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৭ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৫৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় চোরাচালান কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। বেন্ডিস করিমের নেতৃত্বে চোরাকারবারীরা ভারতীয় চোরাচালান দিয়ে নিয়ে আসছে। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে সীমান্তের ১৯ বিজিবির অধিনে ঘিলাতৈল এলাকা দিয়ে অবাধে আসছে চোরাচালান। নিরব ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন। চোরাচালাদের বিরুদ্ধে অভিযানে মাঠে রয়েছে সিলেট র্যাব-৯ এর সদস্যরা। এই চোরাকারবারীদের নেতৃত্ব দিয়ে লাইনম্যান বেন্ডিস করিম বিজিবির নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এই টাকার লেনদেন নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষ হচ্ছে বেন্ডিস করিম ও চোরাকারবারীদের। তবে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে সীমান্তের চোরাচালান। অবৈধ পথে আসা ভারতীয় গরু-মহিষের বৈধতা দিচ্ছে স্থানীয় জৈন্তাপুর বাজার। এছাড়া অন্যান্য পণ্য সিলেট নগরীতে নিরবে প্রবেশ করছে। এখানেও রয়েছে চোরাকারবারীদের প্রভাবশালী লাইনম্যান। যিনি আওয়ামীলীগ নেতাদের ছত্র-ছায়ায় রয়েছেন।
সূত্রে জানায়, স্থানীয় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তাদের উপর মহলে চাপে পড়ে মামলা দিতে বেন্ডিস করিমের সাথে সিষ্টেম ও বুঙ্গাড়ীদের চুক্তি মাধ্যমে কিছু সংখ্যাক গরু-মহিষ এবং হাতে গুনা কয়েক বস্তা মটরশুটি আটক করে জনসাধারনের আইওয়াশ করছে বলে জানান। তাও নাম মাত্র এক দুটি চালান আটক করেন। কিন্তু স্থায়ী ভাবে বন্ধ ও বড় ধরণের কোন অভিযান দিতে দেখা যায়নি।
ইতোমধ্যে চোরাচালানের লাইনের চাঁদা নিয়ে জৈন্তাপুর বাজারে ২টি গ্রুপের মধ্যে মারামারি ঘটনাও ঘটেছে। যেকোন মুহুত্বে চোরাচালানকে কেন্দ্রকরে উপজেলার ঘিলাতৈল, ফুলবাড়ী, টিপরাখলা এবং এবং কমলাবাড়ী এলাকায় খুনের মত ঘটনা ঘটতেপারে এমনটা আশংঙ্কা সচেতন মহলের। আগ খেকে বেন্ডিস করিম চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। প্রতিদিন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সীমান্ত এলাকায় মহড়া দিতে থাকে বেন্ডিস করিমের ভাগিনা রুবেল-আলিম উদ্দিন ও বাহিনীর সদস্যরা। যার ফলে স্থানীয়রা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে জীবন-যাপন করছেন।
এদিকে জৈন্তাপুর বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন ১২৮৬নং আন্তর্জাতিক পিলার হতে ১২৯৬নং পিলার এলাকা। অন্যান্য এলাকার তুলনায় এই এলাকার সুযোগ সুবিধা ভালো। ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে বর্ডরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিনা বাঁধায় ঢুকতে পারে চোরাকারবারীদের গাড়ী সমুহ। নির্ধারিত টাকা লাইনম্যান বেন্ডিস করিমের নিকট পরিশোধ করার পর পর কয়েক মিনিটের মধ্যে সীমান্তের ঘিলাতৈল, ফুলবাড়ী, টিপরাখলা, গৌরীশংক, কমলাবাড়ী, গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল অন্যতম।
সুযোগ সুবিধা ভাল থাকায় উপজেলার এই রোড গুলোদিয়ে অন্তত ৮ হতে ১০কোটি টাকার ভারতীয় মটর সাইকেল, মোবাইল হ্যান্ড সেট, শাড়ী, মহিষ,গরু, কসমেট্রিক্স, হরলিক্স, ইয়াবা, ফেন্সিড্রিল, বিভিন্ন ব্যান্ডের অফিসার চয়েস মদ, আমদানী নিষিদ্ধ ভারতীয় শেখ নাছির উদ্দিন বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, সুপারী, বাংলাদেশ হতে ভারতে পাচার হচ্ছে হাজার হাজার বস্তা মটরশুটি, মটর ঢাল, নারী। সাথে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনসুরসহ বুঙ্গাড়ীদের গরু-মহিষের চালান আসছে। এই গরু-মহিষের বৈধতা দিচ্ছে স্থানীয় জৈন্তাপুর বাজারের ইজারাদাররা।
সীমান্তে বসাবাসরত সাধারন নাগরিকরা জানান, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়োজিত বেন্ডিস করিমের প্রায় ৩০জন সোর্সদের মাধ্যমে প্রতিদিন ২০ হতে ২৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ১০ হতে ১৫ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য ও গবাদি পশু বাংলাদেশে প্রবেশ করে। সীমান্ত বাসিন্ধারা আরও জানান কিছু কিছু সময় অনেক চোরাকারবারী নিদিষ্ট করিমকে নির্ধারিত টাকা পরিশোধ না করলে ওই চোরাকারবারীর নিয়ে আসা পণ্য ও গবাদি পশু আটক করা হয়। সীমান্তে আইনশৃংখলা বাহিনীর একমাত্র অবৈধ আয়ের হাতিয়ার হলেন সীমান্তের রাজা বেন্ডিস করিম। এর আগে ছিলেন শামছু মিয়া নামের আরেক লাইনম্যান। তাকে লাইন আউট করে করিম এখন সীমান্তের রাজা। সংবাদ চলমান
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd