সিলেট ১লা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৫ই মহর্রম, ১৪৪৭ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৩৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২০
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটে গোয়াইনঘাটে বালুশ্রমিক রাসেল আহমদ হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে চাঞ্চল্যকর জবানবন্দি দিয়েছে এক আসামি। মেহেদি হাসান নামের ওই আসামি তার জবানবন্দিতে জানিয়েছে- সহকর্মী রাসেল আহমদকে (২০) খুন ও লাশ গুমের পর নিখোঁজের খবর প্রচার করে তারাই।
পরে গালে ও গলায় আঁচড় দেখে এবং আচরণে সন্দেহ হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যে গ্রেফতার করা হয় অন্য সহযোগীদেরও।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) সিলেটের আমল গ্রহণকারী আদালতের বিচারক হারুনুর রশীদ এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন। একই মামলায় আরও চার আসামির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালত সূত্র জানায়, শ্রমিক রাসেল আহমদ খুনের দায় আসামি মেহেদি হাসান জবানবন্দিতে স্বীকার করে।
জবানবন্দিতে সে জানায়, গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য পাওনা ৫শ’ টাকা চেয়েছিল রাসেল। তাছাড়া অন্য সহকর্মীদের সাথেও প্রায় ৩ হাজার টাকার লেনদেন ছিল। এসব নিয়ে তার সঙ্গে মনোমলিন্য তৈরি হলে সহকর্মীদের নিয়ে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে রাসেলকে হত্যা করা হয়।
এরপর খুন ও লাশ গুমের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে রাসেলের সহকর্মী সুলেমান মিয়া নিখোঁজের বিষয়টি প্রচার করে। রাসেলের বাবা সবুর মিয়াকে ফোন করে জানানোর পর তিনি সিলেটের তাহিরপুর থেকে গোয়াইনঘাটে আসেন।
আসামি মেহেদি সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার শ্রীপুর এলাকার মৃত শানুর মিয়ার ছেলে। হত্যার সময় তাকে আরো কয়েকজন সহযোগিতা করে বলেও জানায় আসামি রাসেল। এদিকে এ মামলার অপর চার আসামিকে শনিবার আদালতে হাজির করে আবেদন জানালে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
রিমান্ডের আসামিরা হল- সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার আব্দুল সালাম মিয়ার ছেলে ইব্রাহিম মিয়া, মো. রইছ উদ্দিনের ছেলে সুলেমান মিয়া, তরং এলাকার আব্দুস ছালামের ছেলে নজির হোসেন এবং মৃত জামাল মিয়ার ছেলে শাহিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত বুধবার গোয়াইনঘাটের বালুশ্রমিক রাসেল আহমদ নিখোঁজ হয়েছে বলে প্রচার করে তার সহকর্মীরাই। দুই দিন পর শুক্রবার লাশ উদ্ধার হয় ধানক্ষেত থেকে। লাশ উদ্ধারের পর সহকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
তাদের বক্তব্য অসংলগ্ন মনে হলে পুলিশ তাদের আটক করে। পরে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হয় আসামি রাসেল। রাসেলের বক্তব্যে হত্যাকাণ্ডে অন্যদের সম্পৃক্ততার কথাও উঠে আসে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd