সিলেট ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:০৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ও তামাবিলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে হঠাৎ করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাচালানীরা। ভারতে মটরশুঁটির পণ্যটির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিগত কয়েক মাস ধরে মটরশুঁটির পাচার বেড়েছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে। তাই দেশী সম্পদ নির্বিঘ্নেই পাচার করছে চোরাকারবারিরা। নিরব ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন।
এই অবৈধ পণ্য পাচারের নেতৃত্ব দিচ্ছে বিজিবির লাইনম্যান স্থানীয় যুবক মোঃ হাসেম ও তার পিতা শামসুল মিয়া, সিদ্দিক মিয়া ও আসু মিয়া সহ একটি চক্র। এই বুঙ্গার লাইনে নেতৃত্ব দিয়ে শামসুল মিয়া ও হাসেম এখন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। তাদরে রয়েছে কোটি টাকার বাড়ি ও নিজস্ব প্রাইভেট গাড়ি।
শামসুলের ছেলে হাসেম কিছু দিন আগে থানা পুলিশের হাতে ইয়াবাসহ আটক হয়। সামসুল মিয়া মাদকের মামলায় একাধিকবার জেল খেটে এসেছে। কিন্তু কিছুতেই তারা সীমান্ত চোরাচালানের পিছো ছাড়ছে না।
অপর জন সোনাটিলা তামাবিল স্থলবন্দর এলাকার বিজিবির লাইনম্যান সিদ্দিক মিয়া। সে কিছু দিন আগে ছিল সে একজন চোরাকারবারি। বর্তমানে বিজিবি সাথে ভালো সু সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাই নিজের চোরাকারবারি ব্যবসার নিরাপত্তার জন্য হয়ে যায় বিজিবির লাইনম্যান। সিদ্দিক মিয়ার নিজের একাধিক গাড়ি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে বুঙ্গার মাল পাচার করে থাকে। এক বছর আগেও ছিল জিরো। কিন্তু বর্তমানে কোটি কোটি টাকার মালিক সিদ্দিক মিয়া। এই চক্রের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানের একাধীক মামলাও রয়েছে। প্রশাসনের নামে হাতিয়ে নিচ্ছে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা।
আসু মিয়া যার পেশাই হচ্ছে বিজিবি ও পুলিশের লাইনম্যান এর কাজ করা। তবে কিছু দিন আগে তার ছেলে রুবেল ট্যুরিস্ট পুলিশের উপর হামলা করে সেই মামলা বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। আসু মিয়াকে এখন পুলিশ-বিজিবি কোন সুযোগ না দেওয়ায় সে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে বুঙ্গাড়ীদের কাছ থেকে আদায় করছে দৈনিক হাজার হাজার টাকা। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সুনাম ক্ষুন্ন করে এসকল অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে সে। যার ফলে গোয়েন্দা পুলিশ আশু মিয়াকে খোঁজছে বলে জানা গেছে। তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার দায়ে যেকোন সময় তাকে গ্রেফতার করতে পারে গোয়েন্দা পুলিশ। তাছাড়া চোরাচালানের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে স্থানীয় থানা পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা নিরব ভূমিকা পালন করছে।
ভারতীয় চোরাচালান বন্ধে ও বিজিবি-পুলিশের অবৈধ টাকার লাইনম্যানদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন জাফলংয়ের সচেতন মহল।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd