সিলেট ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:২৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
নিজস্ব প্রতিনিধি :: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার আওয়ামীলীগ পরিচয়দানকারী বহুরুপী সুনারা বেগম এর বেপরোয়া কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ এলাকার শান্তিকামী মানুষজন। তিনি পাপিয়ার মতো এমপি-মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে সেলফি তোলে নিজেকে আওয়ামীলীগের বড় নেত্রী দাতি করে আসছেন। কিন্তু জৈন্তাপুর আওয়ামীলীগের কোন নেতাকর্মী তার এহেন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে। একদিন এই সুনারার কারণে দলের সম্মান কুন্ন হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এলাকার কোন লোক সুনারার অপকর্মের প্রতিবাদ করলেই পড়তে হয় বিভিন্ন হামলা-মামলায়। সুনারার মিথ্যা ও সাজানো মামলার শিকার হয়েছেন শাহপরান থানাধীন টিকর পাড়া এলাকার বাসিন্ধা নজির উদ্দিনের পরিবার। সুনারা ও তার বখাটে ছেলে আতিকুল হক সোবহান এর হয়রানীর শিকার হয়ে নজির উদ্দিনের স্কুল পড়ুয়া মেয়ের স্কুলে যাওয়া বন্ধ। সম্প্রতি নজির সুনারার এই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে শাহপরান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন এবং আদালতে একটি মামলা করেন। সুনারা তার ছেলেসহ ছয় জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলাটি দায়ের করেন। শাহপরান (রহঃ) থানা সি.আর মামলা নং-১৭৩/ তারিখ ৩০-০৭-২০২০ ইং।
পরে সুনারা কিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীর পরিবারের লোকজনের উপর একটি সাজানো মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৫৬/২০ তারিখ-২৩ জুলাই ২০২০ইং। কিন্তু উক্ত সাজানো মামলার ফাইনাল রিপোর্ট মিথ্যা বলে আদালতে দাখিল করেন জৈন্তাপুর থানা পুলিশ। মামলার বাদীনি সুনারা মিথ্যা মামলা দায়ের করায় তার বিরুদ্ধে পেনাল কোড ২১১ ধারা মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণে মতামত ব্যক্ত করিয়া জৈন্তাপুর মডেল থানার চুড়ান্ত রিপোর্ট মিথ্যা নং-১৪ তারিখ-২০/০৯/২০২০ ইং। উক্ত রিপোর্ট বিজ্ঞ আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজী শাহেদুল ইসলাম।
পরে নজির উদ্দিনের স্ত্রী বাদি হয়ে স্কুল ছাত্রীকে উত্যক্তের অভিযোগে আদালতে সুনারা ও তার ছেলের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করেছেন। শাহপরান থানা সি আর মামলা নং-২২৯/২০২০ইং। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। মামলায় আসামিরা হলেন, জৈন্তাপুর ঠাকুরের মাঠি চানপুরিছড়া গ্রামের আতিকুল হক সোহান (১৯), তারুন মিয়া (৩৮), সুনারা বেগম (৩৬)।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সুনারা বেগমের বখাটে ছেলে আতিকুল হক সোহান বাদিনীর মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। এমনকি ৩ সেপ্টেম্বর ওই মেয়েকে তার মায়ের সামনে উঠাইয়া নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সুনারা ও তার ছেলে। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শী লোকজন মেয়েটিকে রক্ষ করেন। এরপর সুনারা তার নিজের ফেসবুক আইডি মোছাঃ সুনারা বেগম থেকে ওই স্কুল পড়ুয়া মেয়ের বিরুদ্ধে অশ্লীল পোষ্ট করছে। পোষ্টে প্রতারণা ও মানহানিকর মন্তব্য করছে।
এদিকে গত ২০ সেপ্টেম্বর সুনারা বেগম ও তার ছেলে আতিকুল ইসলাম সোহানকে অভিযুক্ত করে জৈন্তাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জৈন্তাপুর উপজেলার চিকনাগুল ইউনিয়নের পানিছড়া গ্রামের বাসিন্ধা আব্দুল মালেকের ছেলে মো. সেলিম আহমদ। পরে সোনার বেগম বাদী হয়ে প্রাণেনাশের হুমকি ও দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে সেলিমসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে জৈন্তাপুর থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের পর সুনারা উপর কিপ্ত রয়েছেন এলাকার জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন মহল। উক্ত বিষয় নিয়ে সুনারা ও তার বখাটে ছেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করায় সুনারা প্রকাশ্যে ওই সংবাদকর্মীকে হুমকি প্রধান করে এবং ওই সংবাদকর্মীর ছবি দিয়ে ফেসবুকে মামলার হুমকি দিয়ে বিভিন্ন লেখা পোষ্ট করছে। পরে সংবাদকর্মী বাদি হয়ে শাহপরান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। যার নং- ১৩৬৮/ তারিখ-২৫-০৯-২০২০ইং।
সুনারার এই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে শেল্টার দিচ্ছেন কিছু নামধারী সাংবাদিক। যাদের কারণে সুনারা ও পাপিয়ার মতো নারীদের জন্ম হচ্ছে বাংলার জমিনে। এই কথিত সাংবাদিকরা সুনারাকে মামলা দায়ের করিয়ে এবং ভূইফোঁড় অনলাইন পোর্টালে মানহানি কর সংবাদ প্রকাশ করাচ্ছে। কিন্তু এত কিছুর পর থানা পুলিশ সুনারাকে আশ্রয় দিচ্ছে এবং তার হয়ে কাজ করছে বলে অভিযো করছেন জৈন্তাপুর উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা।
সুনারা ও তার সহযোগী দালালদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন জৈন্তাপুর উপজেলার সচেতন মহল।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd