সিলেট ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:৪৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ও তামাবিলের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে এই মটরশুঁটির পাচার। ভারতে এই পণ্যটির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিগত কয়েক মাস ধরে মটরশুঁটির পাচার বেড়েছে বলে স্থানীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে। তাই দেশী সম্পদ নির্বিঘ্নেই পাচার করছে চোরাকারবারিরা। আর এ সকল চোরাকারবারিদের নেতৃত্ব দিচ্ছে পুলিশ-বিজিবির অবৈধ টাকার লাইনম্যান মুসলিম নগর গ্রামের বাসিন্ধা যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, মোহাম্মদপুর পাথর টিলা এলাকার বাসিন্ধা আসু মিয়া ও আবুল কালাম আজাদ। এই চক্রটি পুলিশ-বিজিবির নামে দৈনিক রাতে লাখ লাখ আদায় করছে। এই চক্রে সাথে রয়েছেন, সিদ্দেক, সামছুল, সামছু ও রুবেল। এদের মধ্যে রুবেল বর্তমানের কারাগারে রয়েছেন।
ক্রাইম সিলেটের অনুসন্ধানে জানা যায়, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের নলজুরী বাজার, তামাবিল স্থলবন্দর, সোনাটিলা, গুচ্ছগ্রাম, সংগ্রাম বিজিবি ক্যাম্পের নিচে মালেকের ঘাট, বল্লাঘাট জিরো পয়েন্ট, লামা পুঞ্জি, লন্ডনী বাজার সীমান্ত দিয়ে অবাধে ভারতে পাচার হচ্ছে মটরশুঁটির, দেশী সুপারি, সাদা পাতা, শুটকি, প্লাস্টিক পণ্য। আর ভারত থেকে দেশে আসছে গরু-মহিষ, কসমেটিক্স, মাদক ও সিগারেট ইত্যদি। এই ভারতীয় কসমেটিকসের সয়লাভ জাফলং পিকনিক সেন্টারের দোকান গুলো। কোন দিন এই দোকান গুলোতে স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালায়নি। তাও আবার দোকান গুলো বিজিবি ক্যাম্পের সামনে।
ভারতী পণ্যের বিরুদ্ধে পুলিশ-বিজিবি নিরব ভূমিকা পালন করলেও র্যাব-৯ এর অভিযানে সর্বদাই আটক হচ্ছে ভারত থেকে দেশে আসা কসমেটিকস্, মাদক ও সিগারেট। কিন্তু এই লাইনম্যান চক্রের বিরুদ্ধে কোন ধরণের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। যার ফলে এই চক্রটি দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা স্থানীয় বিজিবি-পুলিশের হয়ে চোরাকারবারিদের নিকট থেকে নিয়মিত টাকা আদায় করছে তারা।
লাইনম্যান জাহাঙ্গীর, আসু মিয়া ও আবুল কালাম আজাদ তারা তাদের নিজেস্ব লোকের মাধ্যমে ও তারা নিজেরা গিয়ে রাতের আধারে চোরাকারবারিদের নিকট থেকে চাঁদা আদায় করে। তাদেরকে টাকা না দিলে তারা বিজিবি ও পুলিশ দিয়ে মালামাল আটক করিয়ে দেয় এমন অভিযোগ চোরাকারবারিদের। প্রতিদিন রাত ৩টা থেকে শুরু দেশী মাল ভারতে পাচার। আর ভোর হলেই সেই লেবার গণ দেশে ফেরার সময় শুরু করেন ভারতীয় মালামাল পাচার। এভাবেই চলছে জাফলং সীমান্ত দিয়ে অবৈধ মালামাল পাচারের হিড়িক।
ভারতীয় চোরাচালান বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আশু হস্থক্ষেপ কামনা করছেন জাফলংয়ের সচেতন মহল।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd