সিলেট ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৩০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নিরীহ প্রবাসী মুনজুর আহমেদের পাঠানো সমুদয় অর্থ,স্বর্ণালংকার এবং গাড়ী,জমাজমি জালিয়াতী করে দুই সন্তানের জননী স্ত্রী নাজমিন আক্তার পরকীয়া প্রেমিক রাসেলের হাত ধরে অজানার উদ্দ্যেশে পাড়ি জমিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এর ফলে স্বামী মুনজুর এখন পথে পথে ঘুরছে এবং পাগল প্রায় হয়ে আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,ঝিকরগাছা থানার ৭ নং নাভারণ ইউনিয়নের নবীনগর এলাকার শরিফপুর (মাঠপাড়া) গ্রামের মুনজুর আহমেদ পিতা মৃত বাদশা মিয়াঁ’র সাথে একই ইউনিয়নের উত্তর দেউলী গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের কন্যা নাজমিন আক্তার (নাজমা) বিবাহ হয়। তারিখ ছিল ১৮/১০/২০০৭ খ্রিস্টাব্দ।
বিয়ের পর মুনজুর এবং নাজমিন আক্তারের দাম্পত্য জীবনে ১ পুত্র এবং ১ কন্যা সন্তান জন্ম নেয়।তাদের দাম্পত্য জীবন সুখেরই ছিল। মুনজুর পেশায় গাড়ী চালক এবং একজন ট্রাকের মালিক। তাই সে সংসারের সচ্ছলতা ফেরাতে ২০১৬ সালে সৌদি আরবের ভিসা নিয়ে প্রবাসে বা বিদেশে চলে যায়। বাড়ীতে রেখে যায় তার স্ত্রী নাজমিন আক্তার, পুত্র মুনতাসির আহমেদ (১৩) এবং কন্যা নওশীন আক্তার (৮)কে।
মুনজুর বিদেশ যাবার পর ৩৪ মাসে মোট ২২ লক্ষ টাকা স্ত্রীর নামে পাঠিয়ে দেয়। স্বর্ণালংকার দেয়া হয় প্রায় ২০ ভরি।এ ছাড়া ঝিকরগাছা পদ্মপুকুর সরকারী হাসপাতালের নিকটেই ০৬ শতক জমির উপর নির্মিত বাড়ীও ক্রয় করে মুনজুর। শুধু তাই নয় মুনজুর আরও কয়েকদাগ জমি ক্রয় করে। যশোর মেডিকেল কলেজ এলাকায় ০২ শতক জমিও ক্রয় করে।
সে তখন সৌদিতে।জমি ক্রয়ের টাকা পাঠিয়েছে জমি দাতাদের কাছ থেকে রেজেস্ট্রি করার সময়ে ছল চাতুরির মাধ্যমে স্ত্রী নাজমিন আক্তার নিজের নামে দলিল করেছে যা স্বামী মুনজুরকে গোপন করে। এদিকে মুনজুর বিদেশ যাওয়ার পর নাজমিন পদ্মপুকুর হাসপাতলের নিকটের বাসায় থাকা কালীন সময়ে ঝিকরগাছা কৃষ্ণ নগর এলাকার রাসেল (পিতা, রফিকুল ইসলাম)এর সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ায়।
চলতে থাকে তাদের এক সাথে বসবাস এবং মেলামেশা। স্ত্রীর কথা বার্তা তার আচরণ মোবাইলের মাধ্যমে মুনজুর আঁচ করে এবং বুঝতে পারে।পরকীয়া স্ত্রী নাজমিন মোবাইলে মুনজুরকে অশ্রাব্য ভাষায় গালি গালাছ করে বিভিন্ন সময়ে তাকে হত্যার হুমকি দিতে থাকে।
মুনজুর সৌদি থাকতে তার স্ত্রী নাজমিন স্বামীর ট্রাক এবং জমি অন্যের কাছে জালিয়াতি পূর্বক হস্তান্তর করে। কুলটা স্ত্রী নাজমিন ২০ভরি সোনার গহনা, নগদ ২২ লক্ষ টাকা,ট্রাক গাড়ী বিক্রয়ের ৬ লক্ষ ১০ হাজার টাকা, সৌদির ভিসা বিক্রির ৬ লক্ষ টাকা, মুজনুরের কাছে জমি বিক্রির ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা,রহিম আলির কাছে জমি বিক্রি ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা, রবিউলের কাছে জমি বিক্রি ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এবং ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার আসবাবপত্র,টিভি, ফ্রিজ,শোকেস, ড্রেসিং টেবিলসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসিপত্র আত্মসাৎ করেছে।
এ ছাড়াও মুনজুর আহমেদ আগের ছুটিতে বিকাশ মালিক রিজাউলের মাধ্যমে ১২ লক্ষ টাকা স্ত্রী নাজমিন আক্তারকে পাঠায়। স্ত্রীর পরকিয়া জানার পরে মুনজুর গত ২২/১২/২০১৯ তারিখে দেশে চলে আসে। দুশ্চরিত্রা স্ত্রী নাজমিন আক্তার তার পরকীয়া প্রেমিক রাসেলের সাথে ২৬ মার্চ ২০২০ তারিখ রাতে পালিয়ে যায় এবং এটিএম গোপন করে থাকে।
পরবর্তীতে মুনজুর তার পাঠান বা দেয়া প্রায় অর্ধকোটি টাকা ও সম্পদ ফিরে পেতে আদালতে বিচার দিলে নাজমিন, রাসেল গংদের সহযোগিতায় স্বামী মুনজুরকে হত্যার প্লান পরিকল্পনা করে।এ বিষয়ে মুনজুর আরও জানায়,হয়তো বা নাজমিন এখন যশোরে কোথাও ঘর ভাড়া করে নাগর রাসেলের সাথে চুটিয়ে প্রেম করছে এবং মধু খাচ্ছে। বিস্তারিত চোখ রাখুন পরবর্তী নিউজে…।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd