পচে যাচ্ছে শিশু সালমানের মাথা, অভাবে ঘর বিক্রি করে দিলেন বাবা-মা

প্রকাশিত: ১:১০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০

পচে যাচ্ছে শিশু সালমানের মাথা, অভাবে ঘর বিক্রি করে দিলেন বাবা-মা

ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : চর্মরোগে আক্রান্ত ৬ বছরের শিশু সালমানের চিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে শেষ সম্বল থাকার ঘরটিও বিক্রি করে দিয়েছেন তার বাবা-মা। গার্মেন্টকর্মী মা সন্তানের চিকিৎসা ও সংসার চালাতে গিয়ে এখন নিঃস্ব। সন্তানের চিকিৎসায় এই মা এখন সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন সমাজের বিত্তবানদের কাছে।

সালমান ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার গন্ডখলা গ্রামের হতদরিদ্র সজল মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। সন্তানের চিকিৎসার জন্য ঘর-বাড়ি বিক্রি করে সপরিবারে তিনি এখন গাজীপুরে ভাড়া বাসায় থাকেন। সালমানের মা মাহমুদা গার্মেন্টে চাকরির সুবাদে ত্রিশালের গলগন্ডা গ্রামেই আছেন।

সালমানের বাবা সজল মিয়া বলেন, সালমানের বয়স যখন ৮-৯ মাস তখন থেকে শরীরে কালো কালো তিলের মতো হয়। তখন থেকে চিকিৎসাও করানো হচ্ছে। এ অবস্থায় গত কোরবানির ঈদের পর থেকে কালো কালো দাগ থেকে প্রথমে মাথায় ঘামাচির মতো গুটি গুটি হয়। পরে সারা শরীরে এ রোগটি ছড়িয়ে পড়ে। গত পাঁচ বছরে চিকিৎসা করাতে আমার ঘর-বাড়ি সব বিক্রি করে দিয়েছি। কিন্তু তার শরীরের উন্নতি হচ্ছে না। বরং ক্রমেই অবস্থা খারাপ হচ্ছে। বর্তমানে মাথার চামড়ার ভেতর থেকে পচা রক্ত বের হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেশ কিছুদিন চিকিৎসা করিয়েছি। কিন্তু কোনো উন্নতি নেই। কি রোগ হয়েছে ডাক্তাররা এখনও জানাতে পারছেন না। এখন অবস্থা খুব খারাপ হওয়ায় তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি হাসপাতাল) হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলেছেন। কিন্তু সেখানে নিলে তো অনেক টাকা খরচ হবে। স্থানীয় একজন সাংবাদিক গতকাল রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) সালমানকে দেখতে এসেছিলেন। তিনি কিছু টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সেই টাকায় তাকে নিয়ে ঢাকায় যাব।

সালমানের মা মাহমুদা বলেন, গার্মেন্টে চাকরি করে ছেলের চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে নিঃস্ব। হৃদয়বান মানুষগুলো যদি আমার ছেলের চিকিৎসায় সহায়তা করে তাহলে হয়তো তাকে বাঁচাতে পারবো।

এ বিষয়ে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানার পর খোঁজখবর নিয়ে শিশুটির সুচিকিৎসার আশ্বাস দিয়েছি। এছাড়াও সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা ও সাহায্যে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

বিষয়টি ফেসবুকে দেখার পর ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি শাহ কামাল আকন্দ শিশুটির চিকিৎসার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলেছেন।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2020
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..