সিলেট ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:১১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীকে তুই বলে সম্বোধন করায় তামরিন নাহার পপি নামে এক গৃহবধূকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেছেন স্বামী। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন শাহীন। স্ত্রীকে ভয় দেখানোর জন্য গলায় ওড়না পেঁচান তিনি। গলায় ওড়না পেঁচালেই স্ত্রী মারা যাবে তা বুঝতে পারেননি বলেও জানান শাহীন।
তামরিন নাহার পপি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার ঝালুয়া মহল্লার আবু ছাঈদ মণ্ডলের মেয়ে। শাহীন একই উপজেলার আাঁচারগাঁও ইউনিয়নের সিংদই গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে। তিন মাস আগে শাহীনের সঙ্গে পপির বিয়ে হয়।
শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সাড়ে ১১টার দিকে ঝালুয়া এলাকায় হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে হত্যা মামলার পর সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে শাহীনকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নান্দাইল থানা পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, শাহীন প্রথমে হত্যার কথা অস্বীকার করলেও পরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। কি কারণে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে শাহীন পুলিশকে বলেন, তুই বলে সম্বোধন করে আমাকে বকা দেয় পপি। তখন ভয় দেখানোর জন্য পপির গলায় ওড়না পেঁচাই। এতে পপি মারা যাবে, আমি বুঝতে পারিনি।
ওসি মিজানুর রহমান বলেন, শাহীন বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঝগড়ার জেরে গলায় ওড়না পেঁচালে স্ত্রী পপি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে পপিকে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে হাসপাতালে গিয়ে শাহীনকে গ্রেফতার করা হয়।
রোববার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ওই দিন ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর দাফন করা হয়। নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন থাকায় হত্যা মামলা করা হয়। সোমবার সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে শাহীনকে আদালতে পাঠানো হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠান বিচারক।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd