সিলেট ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৬:০৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
নিজস্ব সংবাদদাতা :: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে দেশে আসছে ভারতীয় অবৈধ পণ্য। আর এই ভারতীয় পণ্য থেকে দৈনিক লাখ লাখ টাকার চাঁদা আদায় করছে বিজিবি ও পুলিশের অবৈধ আয়ের হাতিয়ার লেপটিন শহিদ ও বেন্ডটিস করিম।
লাইনম্যান পরিচয়দানরী লেপটিন শহিদ ও বেন্ডটিস করিম তারা চোরাকারবারীদের প্রকাশ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিনিময় রাতের আধারে লক্ষ লক্ষ টাকার চাঁদা দিচ্ছেন চোরাকারবারীরা। বানের পানির মত সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে ভারতীয় নাছির বিড়ি মদ, ইয়াবা, মোটরসাইকেল গাড়ি, মোবাইল ও কসমেট্রিক্স গবাদিপশু গরু সহ ইত্যাদি সামগ্রী। কিন্তু লেপটিন শহিদ ও বেন্ডটিস করিম এর নেতৃত্ব থাকার কারণে কোন চোরাকারবারীর অবৈধ পণ্য আটক করেনি বিজিবি ও পুলিশ।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, লেপটিন শহীদ ও করিম নামের এই দুই ব্যক্তি এই চোরাকারবারীদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। তারা বিজিবি ও পুলিশের নামে চাঁদা অাদায় করে। যারফলে লাইনম্যান লেপটিন শহিদ ও বেন্ডটিস করিমের মত লোকেদের জন্য প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল। লেপটিন শহিদ ও বেন্ডটিস করিমের এর আগে সামছু নামক এক ব্যাক্তি ছিলেন এই লাইনের দায়িত্বে। সামছু মিয়া লাইন থেকে অবৈধ টাকা কামাই করে অল্প দিলে হয়ে যান আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। সামছু মিয়া এখন কোটি টাকার মালিক। এই লাইনে কি এত টাকা? সম্পতি সামছু মিয়ার বিয়ে অনুষ্টানে থানা পুলিশের লোকজন যান। সামছু মিয়ার বাড়ির বিশাল অবস্তা দেখে পুলিশের মাথ্যা ঘুরে যায় এবং সাথে সাথে তাকে লাইন থেকে আউট করেন। এখন সামছু মিয়ার মতো আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনতে এই অবৈধ লাইনে চাঁদাবাজ হয়ে আসছেন লেপটিন শহিদ ও বেন্ডটিস করিম। তারাও বেশি দিন লাগবে না গড়ে তোলবে অবৈধ সম্পদ। লেপটিন শহিদ ও বেন্ডটিস করিমে শেল্টার নিয়ে গত রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের ডিবির হাওর সীমান্তে ঘিলাতৈল এলাকায় বিজিবি‘র টহল টিমের উপর গরু চোরাকারবারীরা হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তাপুর ইউনিয়নের ৪৮ বিজিবি’র নিয়ন্ত্রনাধীন, অালুবাগান, মোকামপুঞ্জি, শ্রীপুর আদর্শগ্রাম, মিনাটিলা, কেন্দ্রী, কাটালবাড়ী, নিজপাট ইউনিয়নের ডিবিরহাওর, খলারবন্দ এবং ১৯ বিজিবি’র নিয়ন্ত্রনাধীন ফুলবাড়ী, ঘিলাতৈল, টিপরাখলা, কমলাবাড়ী, গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, হর্নি, কলিঞ্জি, চারিকাটা ইউনিয়নের জালিয়াখলা,বাগছড়া, লালাখাল, তুমইর, অফিফানগর, বালিদাঁড়া, ইয়াং রাজা এলাকা দিয়ে গত এক সাপ্তাহ হতে নতুন করে চোরাকারবার সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা বানের পানির মত ভারতীয় মদ, বিআর, ফেন্সীড্রিল, শেখ নাছির উদ্দিন বিড়ি (পাতার বিড়ি), বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, ইয়াবা, বিস্কুট, কসমেট্রিক্স,বিভিন্ন ব্যান্ডের মোবাইল সহ নানান সামগ্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখা যায়৷
এসব পণ্য বাংলাদেশে প্রবেশ করতে বিজিবি ও পুলিশের নাম ব্যবহার করে প্রকাশ্যে লাইনম্যান নামক এই চক্র আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অগ্রীম টাকা দিয়ে লাইন নিয়ে তারা চোরাকারবারীদের নিকট হতে চাঁদা আদায় করে আসছে৷
বিষয়টি নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে আলাপকালে জানাযায়, বিজিবি ও পুলিশের অন্য বাহিনীর কোন লাইনম্যান নাই, ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে অধৈধ ভাবে প্রবেশ বেআইনি তারপরও কেউ আমাদের নাম ব্যবহার করে টাকা আদায় করে থাকলে তাদেরকে ধরিয়ে দিন বা তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন৷
তারা দাবী করেন জানান এসব বেআইনি কাজে যারা জড়িত সমাজের সচেতন মহল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিন, আমাদের নামে কাউকে চাঁদা না দেয় তার পরেও আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি বলে জানান৷
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd