কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা রোগীদের টাকা চুরির ঘটনা বাড়ছে

প্রকাশিত: ৮:৩৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২০

কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা রোগীদের টাকা চুরির ঘটনা বাড়ছে

কানাইঘাট প্রতিনিধি :: কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি, চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবহেলার পাশাপাশি আউটডোরে আগত সেবাপ্রাপ্তিরা নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন।

ডাক্তারের কাছে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসার পর ডিসপেনসারি থেকে শ্লিপ ও ঔষধ গ্রহণের সময় রোগীদের টাকা পয়সা, মূল্যবান জিনিসপত্র এমনকি স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনা ঘটছে। হাসপাতাল সিসি ক্যামেরা আওতায় থাকলেও বিভিন্ন সময় চুরির ঘটনা ঘটলেও আজ পর্যন্ত একটিও সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েনি।

এমনকি সিসি ক্যামেরার হার্ডডিক্স দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। জানা যায়, গতকাল সোমবার সকাল ১১টার দিকে হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর জন্য যান পৌরসভার ডালাইচর গ্রামের সালেহা বেগম নামে এক মহিলা। তিনি ডিসপেনসারি থেকে ডাক্তার দেখানো স্লিপ সংগ্রহকালে তার হাতে থাকা কাপড়ের একটি ব্যাগ ব্লেড দিয়ে কেটে নগদ সাড়ে ১২ হাজার টাকা চুরি হয়ে যায়। টাকা হারিয়ে সালেহা বেগম হাসপাতালে ছুটোছুটি শুরু করেন, কিন্তু কোন প্রতিকার না পেয়ে তার চাচাতো ভাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাব উদ্দিন ও ভাই উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এনামুল হককে ঘটনাটি জানান। তারা হাসপাতালে আসার পর যেহেতু সিসি ক্যামেরা রয়েছে কে সালেহা বেগমের টাকা ব্যাগ কেটে চুরি করে নিয়েছে তা সিসি ক্যামেরায় দেখার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান।

এ সময় পরিসংখ্যানবিদ সুবোধ চন্দ্র দাস জানান, হাসপাতালের টিএইচও ডাঃ শেখ শরফ উদ্দিন নাহিদ ঢাকায় অবস্থান করছেন। সিসি ক্যামেরায় মনিটর তার অফিস রুমে রয়েছে, সেটির হার্ডডিক্স নষ্ট থাকার কারনে সিসি ক্যামেরায় চুরির দৃশ্য রেকর্ড হয়নি। এনামুল হক, শাহাব উদ্দিন সহ হাসপাতালে আগত অনেকে জানিয়েছেন, সরকার হাসপাতালের উন্নয়নে ও বিভিন্ন খাতে লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়ে থাকেন। কিন্তু একদিকে আমরা দেখছি সিসি ক্যামেরার আওতাধীন হাসপাতাল ইনডোর-আউটডোর এলাকা রয়েছে। অথচ দীর্ঘদিন ধরে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিক্স নষ্ট রয়েছে, সেটা ঠিক করা হচ্ছে না। সেটা যদি ঠিক থাকতো তাহলে আজকের চুরির ঘটনা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়তো।

অনেকে জানিয়েছেন, প্রতিমাসে ইনডোরে ডাক্তার দেখাতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের টাকা পয়সা খোয়া যায়। প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪টি চুরির ঘটনা ঘটে। সেবা প্রাপ্তিদের কখনো ব্যাগ, মানিব্যাগ থেকে সংঘবদ্ধ মহিলা ও পুরুষ চোর চক্র টাকা, এমনকি স্বর্ণালংকার পর্যন্ত চুরি করে নিয়ে যায়। কিন্তু একটিরও প্রতিকার পাননি তারা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতা ও অবহেলা ও সিসি ক্যামেরার হার্ডডিক্স নষ্ট থাকার কারনে চুরির ঘটনা হর-হামেশা ঘটছে।

Sharing is caring!

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

September 2020
S S M T W T F
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
2627282930  

সর্বশেষ খবর

………………………..