সিলেট ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১১ই জিলহজ, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:১১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : নাটোরে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী সুমাইয়া খাতুনের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ‘আত্মহত্যা’ উল্লেখ করায় তা প্রত্যাখ্যান করে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে শহরের বলাড়িপাড়া মহল্লায় আয়োজিত এ মানববন্ধনে সুমাইয়ার মা নুজহাত সুলতানা পুনরায় ময়নাতদন্তের দাবি জানান।
এ সময় স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, হত্যাকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সুমাইয়া হত্যার ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ‘ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা’ উল্লেখ করায় সুমাইয়ার শ্বশুর জাকির হোসেন, শাশুড়ি সৈয়দা মালেকার জামিন মঞ্জুর হয়েছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে পুনরায় ময়নাতদন্তসহ সুমাইয়া হত্যার ন্যায়বিচার পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহায়তা কামনা করেন স্থানীয়রা।
গত ২২ জুন রাতে সুমাইয়ার মরদেহ হাসপাতালে ফেলে চলে যান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তিনি শহরের হাজরা নাটোর এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের মেয়ে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ ঘটনার একদিন পর সুমাইয়ার মা নুজহাত সুলতানা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ এ ঘটনায় সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক হোসেন, শ্বশুর জাকির হোসেন, শাশুড়ি সৈয়দা মালেকা এবং ননদ জুঁইকে গ্রেফতার করে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর নাটোরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহমানের আদালতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। এর প্রেক্ষিতে আদালত সুমাইয়ার স্বামী মোস্তাক হোসেন, শ্বশুর জাকির হোসেন, শাশুড়ি সৈয়দা মালেকার জামিন শুনানি করেন। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের বিরোধিতার কারণে স্বামী মোস্তাক আহমেদের জামিন না হলেও শ্বশুর এবং শাশুড়ির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
নিহত সুমাইয়ার মা নুজহাত সুলতানা জানান, তিনি কিছুদিন আগেও ভিসেরা প্রতিবেদন সম্পর্কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে খোঁজ নিয়েছিলেন। সে সময় তাকে বলা হয় প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি।
তিনি জানান, আসামিদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। সুমাইয়া আত্মহত্যা করেছে, তা তিনি বিশ্বাস করেন না। আইনগতভাবে কী পদক্ষেপ নেয়া যায় সে বিষয়ে তিনি আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করবেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল মতিন বলেন, মেডিকেল বোর্ডের প্রতিবেদন পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সরাসরি আদালতে দেয়া হয়েছে। আমার কাছে কার্বন কপি আছে। সম্প্রতি বিষয়টি জানতে পেরেছি। অপরদিকে বাদীর সঙ্গে সম্প্রতি কথা হয়নি। মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের সময় বাদীকে জানানো হবে।
Sharing is caring!
………………………..
Design and developed by best-bd