স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেটেল কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা দিয়ে বহমান ধলাই নদীর তীর রক্ষায় কঠোর অবস্থানে উপজেলা প্রশাসন। ট্রক্সফোর্স অভিযানের মাধ্যমে তাড়িয়ে দিয়েছে অবৈধ পাথর ও বালুখেকো খাদকদের। ধ্বংস করেছে বহু সরঞ্জাম। জরিমানা আদায় করেছে লাখ লাখ টাকা। প্রশংসা কুড়িয়েছে তীরবাসী হাজার হাজির বণিআদমের। এলাকার জনপ্রতিনিধি সাংবাদিক সকল মহল অভিনন্দন জানিয়েছেন এ অভিযানকে।
স্থানীয় সংবাদ সূত্র জানায়, কোম্পানীখঞ্জ উপজেলার লিলাই বাজার, দয়ার বাজার, রোপওয়ে প্রভৃতি ইজারা অযোগ্য সংরক্ষিত কয়েকটি এলাকা। একশ্রণির খাদকরা সংরক্ষিত এসব এলাকায় গভীর গর্ত করে বালু ও পাথর উত্তোলন করে আসছিল। ফলে ভয়াবহ ভাঙ্গণ ঝুঁকিয়ে পড়ে এলাকার বসতবাড়ি কৃষিজমি,বাজার এবং সরকারি-বেসরকারি স্কুল মসজিদ মাদ্রাসা সহ বহু স্থাপনা।
বিভিন্ন সেক্টরের স্থানীয় দালাল ও রাজনৈতিক বাটপারদের শেল্টারে তারা চালিয়ে আসছিল ধ্বংসাত্মক এ অপকর্ম। এলাকাবাসী কারো প্রতিবাদ করার সাহস ছিল না পরিবেশ মোল্লা’র লালিত এসব চোর ও বাটপারদের বিরুদ্ধে।
অবশেষে অসহায় ধলাই তীরবাসী রক্ষায় অভিযানে নামে উপজেলা প্রশাসন। সোমবার (২৭ জুলাই) দিনভর এ অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন আচার্যের নেতৃত্বকে একটি ট্রক্সফোর্স। অভিযানে সংরক্ষিত ও নিষিদ্ধ এলাকায় চুরি করে বালু-পাথল উত্তোলনের দায়ে পৃথক ১০টি মামলায় ৬ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া ১৫০ ঘনফুট চিপ পাথর জব্দ করে ৭ হাজার ৮শত টাকায় স্পটেই নিলাম করা হয়। এ সময় বালুপাথর উত্তোলনের ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি লিস্টার মেশিনও ধ্বংস করা হয়।
অভিযানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ওসি কে, এম নজরুল ইসলাম, কালাসাদক কোম্পানি বিজিবি কমান্ডার জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গীয় ফোর্স।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন আচার্য বলেন, ইজারা অযোগ্য ও ইজারা বহির্ভূত এলাকা থেকে বালু-পাথর উত্তোলন করতে দেয়া হবে না। আইন বহির্ভূত ও ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
Sharing is caring!