সিলেট ২৫শে জানুয়ারি, ২০২১ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই মাঘ, ১৪২৭ বঙ্গাব্দ | ১১ই জমাদিউস সানি, ১৪৪২ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:১৭ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২০
Sharing is caring!
ক্রাইম সিলেট ডেস্ক : বহুল আলোচিত নরসিংদীর বহিষ্কৃত যুবলীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়ার চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পাশাপাশি তার ব্যবহৃত পোশাক-জুতা-প্রসাধন সামগ্রীসহ বিপুল পরিমান মালামালও মিলেছে, যা সরাতে তিনটি ট্রাক লাগবে বলে জানিয়েছেন দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। রোববার (২৮ জুন) দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও উপ-পরিচালক শাহীন আরা মামতাজ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পাপিয়ার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান শেষ পর্যায়ে। অনুসন্ধানে তার চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য আমাদের হাতে আছে। কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে, সেগুলো শেষ হলে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।
দুদকের উপ পরিচালক শাহীন আরা মামতাজ বলেন, পাপিয়াকে অন্য একটি সংস্থা জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সেই সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদ শেষ হলে দুদকের পক্ষ থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এরপর আমরা তার বিরুদ্ধে মামলা করব। এই কর্মকর্তা জানান, ওয়েস্টিন হোটেলের যে তিনটি কক্ষ পাপিয়া ও তার সহযোগীরা ব্যবহার করতেন, গত ১৫ মার্চ সেগুলো পরিদর্শন করেছেন তিনি। ওই কক্ষগুলোর মালামালের ইনভেন্ট্রি তৈরি করেছেন।
ওই তিন কক্ষের মালামাল সরাতে গেলে তিনটি ট্রাক লাগবে জানিয়ে শাহীন আরা মামতাজ বলেন, অবাক হওয়ার মত বিষয় যে সেখানে একশ জোড়া স্যান্ডেল পাওয়া গেছে। বেশির ভাগই পাপিয়ার। এছাড়া প্রচুর দামি দামি পোশাক ও ঘড়ি পাওয়া গেছে।
পাপিয়া নিজ হাতে সই করে কত টাকা হোটেলে বিল দিয়েছেন, সেই সব বিলের কপিও সংগ্রহ করা হয়েছে জানিয়ে এই দুদক কর্মকর্তা বলেন, পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ছাড়াও আরও নয়জন থাকতেন ওয়েস্টিনের ওই কক্ষগুলোতে। তার গ্রামের বাড়িও পরিদর্শন করতে হবে। তারপরই মামলাটি করা হবে। গত ২২ ফেব্রুয়ারি শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ঢাকা ও নরসিংদীতে পাপিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল সম্পদের খোঁজ পাওয়ার কথা জানায় র্যাব। ওই সময় র্যাবের তরফ থেকে বলা হয়, পাপিয়া গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেল ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপ চালিয়ে যে আয় করতেন, তা দিয়ে হোটেলে বিল দিতেন কোটির টাকার উপরে। গ্রেফতারের পর পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে জাল নোটের একটি এবং অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র্যাব। আর মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে সিআইডি আরেকটি মামলা করে। এরপর দুদকও পাপিয়ার অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নামে।
………………………..
Design and developed by best-bd